নাঙ্গলকোটে
একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আরো অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দৃশ্যমান করবো।
প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল
কোর্ট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার থাকবে। জাতীয় সংসদ
নির্বাচন থেকেও দ্বিগুণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী কাল থেকে ভোট শেষ হবার
পরের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ফলাফল প্রত্যেক কেন্দ্র
প্রিজাডিং থেকে বুঝে নিবেন। প্রত্যেক প্রার্থীর ৮৯৪জন এজেন্ট সক্রিয়
ভূমিকায় থাকতে হবে। ভোটের ব্যালট পেপার ভোটের দিন ভোরে কেন্দ্রে পৌঁছে
দেয়া হবে। প্রার্থীরা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে
উপস্থিত থাকতে হবে। কোন প্রার্থী বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে সাথে সাথে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন প্রার্থী যদি কেন্দ্র দখল করতে চায়
সাথে সাথে ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। জেলা প্রশাসক খন্দকার
মু. মুশফিকুর রহমান গতকাল রবিবার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও
সহকারী রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা,
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সাথে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময়
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি প্রিজাইডিং
অফিসারদের উদ্দ্যেশে বলেন, প্রার্থীদের নিকট থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করবেন না,
সকাল থেকে আপনারা ভোট কেন্দ্রে কঠোর অবস্থানে থাকবেন, কোন ধরণের সমস্যা
থাকলে প্রিজাইডিং অফিসারদের একটি হোয়াসটএ্যাপ গ্রুপ থাকবে সেখানে লিখবেন,
প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টদের হাতে রেজাল্টশীট বুঝিয়ে দিবেন এবং এককপি ভোট
কেন্দ্রে টানিয়ে দিবেন।
মতবিনিময় সভায় নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী
অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা
প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন অফিসার
আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম(বার), কুমিল্লা রিটার্নিং অফিসার ও
সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মুনীর হোসাইন খান, নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, থানা অফিসার ইনর্চাজ দেবাশীষ চৌধুরী।