![সাবেক সেলস ম্যানেজার নুরুজ্জামান, তার স্ত্রী ও শ্যালকের ১২ বছর জেল]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/05/06/CK_1714937299.jpg)
সেলস
ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকালে বায়োটেক এগ্রোভেট লিমিটেড কোম্পানির ২ কোটি
৭২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৪ টাকা আত্মসাত ও তছরুপের দায়ে আসামি নুরুজ্জামানকে ৮
বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, তার শ্যালক ওবায়দুল হককে ৩
বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও তার স্ত্রী মাহফুজা
বেগমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত।
কুমিল্লার ৯নং বিচার আদালতের বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বায়োটেক
এগ্রোভেট লিমিটেড কোম্পানির ২ কোটি ৭২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৪ টাকা আত্মসাত ও
তছরুপের দায়ে তৎকালীন সেলস ম্যানেজার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফুলতলী
গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান, তার শ্যালক ওবায়দুল হক ও তার স্ত্রী
মাহফুজা বেগমের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল কুমিল্লার কোতায়ালী থানায়
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরশাদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু
করেন। যার নং ২০ (জি আর ৩৪২/২২)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত
হওয়ায় পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে।
মামলা
চলাকালে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম। আসামী
পক্ষে ছিলেন, এডভোকেট জামাল হোসেন। গত মঙ্গলবার আদালত সাক্ষ্য প্রমান ও
যুক্তি তর্ক শেষে এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে বলা হয়, আসামী নুরুজ্জামানকে
দোষী সাবস্ত করে পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার
টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে পেনাল
কোডের ৪০৬ ধারায় নুরুজ্জামানকে আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা
অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
একই মামালার অপর
আসামি ও আসামী নুরুজ্জামানের শ্যালক ওবায়দুল হককে পেনেল কোডের ৪৬৭ ধারায়
ওবায়দুল হককে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩
মাসের কারাদন্ড দেন। একই সাথে পেনেল কোডের ৪০৬/১০৯ ধারায় ওবায়দুল হককে আরো
এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের
কারাদন্ড প্রদান করেন।
আসামি নুরুজ্জামানের স্ত্রী মাহফুজা বেগমকেও একই
মামলায় দোষী সাবস্ত করে বিজ্ঞ আদালত ৪০৬/১০৯ ধারায় এক বছরের সশ্রম
কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড দেন।
বিজ্ঞ
আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন বাদী পক্ষ। কোম্পানির ন্যাশনাল সেলস
ম্যানেজার হাসান জোয়ারদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতের প্রতি
শ্রদ্ধাশীল। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো- ‘বায়োটেক এগ্রোভেট কোম্পানির’
টাকা আত্মসাত বা ভোগ করে কেউ পার পেতে পারেনা। অবশ্যই তাকে বিচারের আওতায়
আসতে হবে।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত আসামী নুরুজ্জামান ও তার শ্যালক
ওবায়দুল হককে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ করেন। এ মামলার অপর
আসামি নুরুজ্জামানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।