ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা পাড়ে গোপনে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েন প্রেমিক ও প্রেমিকা। এ সময় পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে দুজনকে পুলিশ আত্মীয়র হেফাজতে দিলে প্রেমিক পালিয়ে যান। এরপর প্রেমিকের আত্মীয় বাড়িতেই লিজা (২০) নামে ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তজুমদ্দিনের সি-ট্রাক ঘাট এলাকার এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের মর্গে পাঠায়।
নিহত লিজা চরফ্যাসন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফ্যাসন গ্রামের ফরাজি বাড়ির ইয়াসিনের মেয়ে।
প্রেমিক সিয়ামের বাড়ি লালমোহন উপজেলার ধলিগৌর নগর ইউনিয়নের করিমগঞ্জ গ্রামে। তার বাবার নাম আলাউদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় সিয়াম ও লিজা দুজন তজুমদ্দিনের সি-ট্রাক এলাকার মেঘনার পাড়ে ঘুরতে যান। তাদের আচরণ অসৌজন্যমূলক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের আটক করেন। এ সময় টহল পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে লিজার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ডাকে সারা দেননি। পরবর্তীতে ওই তরুণীকে প্রেমিক সিয়ামের আত্মীয় সি-ট্রাক এলাকার ব্যবসায়ী হাজি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদারের জিম্মায় দেয় পুলিশ।
মিশু হাওলাদার দুজনকেই হাজি মঞ্জুরুলের জিম্মায় রাখেন। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পরপরই প্রেমিক সিয়াম পালিয়ে যান। গত দুই দিনে আত্মগোপনে থাকা সিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ দিকে আজ রোববার সকাল ৯টায় জিম্মাদার হাজি মঞ্জুরুলের বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেয়া লিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম বিল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সবধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।