বৈধ
কাগজপত্র না থাকায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে
ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাতে
আকস্মিক পরিদর্শনে এসে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মহিউদ্দিন ও জেলা
সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার দোকানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান
জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ন্যায্য
মূল্যে ঔষধের দোকান পরিচালনার জন্য ২০১০ সালে তিন বছরের জন্য মেসার্স সরকার
মেডিকেল হলকে পরিচালনার জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দরপত্রের
মাধ্যমে দায়িত্ব পান । গত দুই বছর আগে তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম শোভন সঠিক কাগজপত্র না পেয়ে
দোকানটিকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওই সময় কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর পুনরায় চালু
করেন মেসার্স সরকার মেডিকেল হল মালিক মোঃ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ২০১০ সালের
পর আর কোন টেন্ডার হয়নি, আগের টেন্ডারেই আমি চালাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ তৌহিদ
আল হাসান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধায় বিভাগীয় পরিচালক( স্বাস্থ্য) ডাঃ মহিউদ্দিন
, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল
হক স্যার আকস্মিক পরিদর্শন আসেন। তখন ফার্মেসির বৈধ কাগজপত্র না পেয়ে
তাৎক্ষণিক দোকানটি বন্ধের নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান,
দুই বছর আগে আমি এখানে যোগদান করার পর ফার্মেসিটির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে
জানতে পারি বৈধ কাগজপত্র নেই। পরে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত
করেছিলাম।
ক্রেতারা বলছেন ন্যায্য মূল্যের কথা বলে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ
বিক্রি করছেন ফার্মেসীটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে দীর্ঘ ১১ বছর
অবৈধভাবে ওষুধের দোকানটি চালু থাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ
করেছেন তারা।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচচা) কুমিল্লা উত্তর জেলার সভাপতি
মো. আলী আশরাফ খান বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এমন একটি
ওষুধের দোকান চলে কেমন করে! তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাছাড়া ন্যায্য মূল্যের
নামে এই প্রতিষ্ঠানটি রাত-বিরেতে বহু ক্রেতাদের ঠকিয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে।
আমরা আশা করি, এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর একটা বিহিত হবে।