![মেলায় মিষ্টি-পুতুল বেঁচে সংসার চলে না]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/04/16/CK_1713208359.jpg)
এবার
পহেলা পহেলা বৈশাখের মেলা জমেছে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র টাউন হল
মাঠে। বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য ধরে রাখতে নগরীর বুকে একখ- রঙিন আয়োজনে রাখা
হয়েছে নাগরদোলা, নৌকার দোলনা, রেলগাড়ি। দূর দূরান্ত থেকে মেলায় মাটির
তৈজসপত্র পুতুল খেলনা নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন দোকানিরা। বিক্রি হচ্ছে মুড়ি-
মুড়কি, বাতাসা- জিলাপিসহ নানান মিষ্টান্ন। পুরনোদের কাছে মেলার এইসব
অনুষঙ্গ নতুন কিছু না হলেও নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের কাছে এসব যেন অবাক
করা বিষয়। ঐতিহ্যের রীতি রেওয়াজ সংস্কৃতি ধরে রাখতে অনেক বাবা মা
সন্তানদের হাতে ধরে নিয়ে এসেছেন মেলায়। তবে মেলা যেন আর আগের রূপে নেই!
তবে
কালের আবর্তে প্লাস্টিকের খেলনা দখল করে নিয়েছে মাটির পুতুলের জায়গা।
বাতাসা জিলাপির বদলে এখন সবার আগ্রহ ফুচকা চটপটি জুস কিংবা ফাস্টফুডে।
চাঁদপুর
থেকে মাটির পুতুল নিয়ে আসা প্রমিত পাল জানান, গত ২৫ বছর ধরে বংশ পরম্পরায়
এই ব্যবসা করে আসছি। একসময় পরিবারের সবাই এক সময় এই মাটির পুতুল বানানো ও
বিক্রির সাথে জড়িত ছিলো। এখন আর তেমন কেউ নেই।
তার আক্ষেপ, আধুনিকায়নের স্রোতে প্লাস্টিক খেলনা দখল করে নিয়েছে মাটির খেলনা। মাটির পুতুল খেলনা বেঁচে এখন আর সংসার চলে না।
মাটির
টেপা পুতুল, বিভিন্ন জীবজন্তুর ও মাটির তজুসপত্রসহ ১০ টাকা থেকে শুরু করে
১শ টাকা মূল্যের নানান পণ্য বিক্রি করছেন প্রমিত পাল। তবে যে আশা নিয়ে
এসেছেন মেলার দেড় দিন পার হলেও সে আশা পূরণ হয়নি।
শংকর মোদক বৈশাখী
মেলায় মুড়ি মুরকি বাতাসা বিক্রি করেন চার দশকের বেশি সময়। তিনি জানান,
কুমিল্লা টাউন হল মাঠের মেলায় বাতাসা জিলাপি বিক্রি করছেন ২৫ বছরের বেশি
সময় ধরে। করোনাকালীন সময়ে মেলা বন্ধ হওয়া মেলার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে গেছে।
এখন মেলায় মানুষ তেমন আসতে চায় না। তাই বেচা কেনাও কম।
কুমিল্লা টাউন
হল মাঠে চিড়া মুড়ির মোয়া - খই, জিলাপি বাতাসা, কদমা, জিলাপি, বাতাসাসহ
নানান মিষ্টিজাতীয় খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।