নিজস্ব
প্রতিবেদক: শনিবার কুমিল্লায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ কুমিল্লার মানুষ।
বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকা এবং আপেক্ষিক আদ্রতা বেশি পাওয়ায় এই
ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে এসব তথ্য
জানিয়েছেন কুমিল্লা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
ইসমাঈল ভূইয়া। তিনি বলেন, অন্যান্য জেলার তুলনায় কুমিল্লার তাপমাত্রা
কিছুটা কম। কিন্তু বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৬৮ শতাংশ। ফলে
বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কারণে এই ভ্যাপসা গরম অনুভূত
হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে দুয়েকদিন
ধরে একটু বেশি। তাপমাত্রা একটু বেশি হলেও যে গরম অনুভূত হচ্ছে সেটা
তাপমাত্রার তুলনায় বেশি। একটু গা জ্বলা জ্বলা ভাব বেশি হচ্ছে আদ্রতার
আধিক্যের কারণে। বাতাসটা কিছুটা দক্ষিণ পশ্চিম দক্ষিণ দিক থেক আসছে। যে
বাতাস দক্ষিণ পশ্চিম দক্ষিণ থেকে আসে সেটাতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার আসে
সাগর থেকে। যার ফলে গত তিন-চারদিন ধরে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
তিনি
আরও বলেন, তাপমাত্রাটা তাপপ্রবাহের মধ্যে নাই। যেমন আজকে ৩৪ গতকাল ছিল ৩১
ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ আজকে থেকে গতকাল আরও গরম অনুভূত হয়েছে। পরশু ছিল ৩৩.৭
ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুমিল্লার তাপমাত্রাটা এই পরিমাণের মধ্যেই আছে। কিন্তু
আপেক্ষিক আদ্রতা জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় এ গরম অনুভূত হচ্ছে।
এই
কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকবে, খুব একটা
বাড়বে না। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হতে পারে। এছাড়াও দিনের শেষের দিকে
বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেটা অস্থায়ী প্রকৃতির বৃষ্টি। পাশাপাশি দমকা
ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কম অনুভূত হলে
কিছুটা স্বস্তি পেলেও বৃষ্টি শেষ হলে গরম আগের মতো অনুভূত হবে।
অপরদিকে
রমজান মাসে এই তীব্র গরমে হাসফাস শুরু হয়েছে মানুষের। ঈদের কেনাকাটা করতে
কুমিল্লা নগরীতে আসা লাকসামের বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, তীব্র গরমে
অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। একে তো রোজা তারওপর এত গরম সহ্য হয় না।
সাদিয়া
জাহান নামের এক পথচারী বলেন, বাসায় ফ্যানের নীচেও গরম লাগে। চৈত্র মাসের
গরমে আর রোজা রেখে আত্মীয়স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করাটা খুব কষ্টের। কিন্তু
কিছু করার নেই, বের হয়ে কেনাকাটা তো করতে হবেই। ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন
বাকি।
কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির মাসউদ বলেন, আমাদের
সকলকে এখনই সচেতন হতপ হবে। বাতাসে কার্বনডাইঅক্সাইড কমিয়ে আনতে বেশি বেশি
করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে। পানির অপচয় রোধ না করলে
সামনে মিষ্টি পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। এখনও সচেতন হওয়ার সময় আছে।