বিশ্বকাপ
ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিতর্কিত চুমুকা-ের জন্য স্প্যানিশ ফুটবল
ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল লুইস রুবিয়ালেসকে। তার
বিরুদ্ধে সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে তদন্ত
চলমান ছিল দুর্নীতির অভিযোগে। ওই অভিযোগে ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে নিজ দেশ
স্পেনের বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাকে আটক করা হয়েছে।
রুবিয়ালেসের আগামী ৬
এপ্রিল (শনিবার) স্পেনে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ (বুধবার) দেশে
ফেরেন তিনি। যেখানে আগে থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ অপেক্ষায় ছিল।
বিমানবন্দর থেকেই তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে
পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্প্যানিশ সুপার
কাপ প্রতিযোগিতা সৌদিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে
ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দুই
থেকে আড়াই বছরের কারাদ-ের আবেদন করেছেন প্রসিকিউটররা। তবে সেই অভিযোগ
অস্বীকার করেছেন সাবেক এই স্প্যানিশ ফুটবলের প্রধান।
বিমান থেকে নামার
পরই একটি কালো ভ্যানে করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রুবিয়ালেসকে তুলে নিয়ে
যায়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, পুনরায় ওই অভিযোগে কোর্টে হাজির
করানো হতে পারে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার চ্যানেল
আরটিভিই। এর আগে গত মাসে রুবিয়ালেসের কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল,
যখন তিনি ডোমিনিকান রিপাবলিকে অবস্থান করছিলেন।
এছাড়া স্পেন ফুটবল
ফেডারেশনের সদরদপ্তরেও অভিযান চালানোর পাশাপাশি কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল।
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জোরপূর্বক
চুমু দিয়েছিলেন রুবিয়ালেস। তবে তারকা ফুটবলার জেনিফার হারমোসোর ঠোঁটে
চুমু খাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে। যার ভিত্তিতে হারমোসো
যৌন নিপীড়নের ফৌজদারি মামলাও করেন রুবিয়ালেসের বিপক্ষে।
ওই ঘটনার পর
রুবিয়ালেসের সমালোচনায় মুখর ছিলেন স্পেনের সাবেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে
দেশটির প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। এতসবের মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন
লুইস রুবিয়ালেস। পুরো বিষয়টিকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধোঁয়াশার মধ্যেই
রেখেছিলেন তিনি। তবে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবেই পদত্যাগ করেন
বিতর্কিত এই ব্যক্তি।