![মার্কেটে ক্রেতার ঢল]( https://www.comillarkagoj.com:443/2024/04/03/CK_1712087375.jpg)
মানুষের ঢল নেমেছে
কুমিল্লায়। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ছোট-বড় সব বয়সী নারী-পুরুষের
উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কুমিল্লার সব-কটি শপিংমল।
গতকাল
(মঙ্গলবার) কুমিল্লা খন্দকার হক, সাত্তার খান, নিউ মার্কেট, এস আর প্লানেট,
কিউ আর টাওয়ার, ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজা সহ শহরের আশেপাশের সবগুলো শপিংমলে
ঈদের কেনাকাটা করার জন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত ক্রেতাদের উপস্থিতি
ছিল চোখে পরার মতো।
কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে রাজগঞ্জ এবং জিলা
স্কুলের গেইট পর্যন্ত প্রাইভেট গাড়ি ব্যতীত সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ
থাকায় শপিংমলের সম্মুখস্থলগুলো জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
প্রতিদিনের মতো
গতকাল রাতেও ছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত
প্রায় ১ ঘন্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়
শপিংমল সম্মুখস্থল উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও থামেনি ঈদের কেনাকাটা।
নগরীর
রানীর বাজার থেকে খন্দকার হক শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আকরাম মুন্সি
কুমিল্লার কাগজকে বলেন, দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে রাতে কেনাকাটা করতে এসেছি।
প্রচন্ড গরম এবং মানুষের ভিড়ে কেনাকাটার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। শুধু
পাঞ্জাবি কিনেই বাসায় ফিরতে হচ্ছে।
নগরীর রাজগঞ্জ থেকে ঈদের কেনাকাটা
করতে আসা আয়েশা বেগম কুমিল্লার কাগজকে বলেন, বিকাল ৩টায় এসেছি এখন রাত ৯টা
বাজে। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছি৷ নিজের জন্য শাড়ি, থ্রি-পিস ও
কসমেটিকস কিনেছি। বাচ্চা ও তার বাবার জন্য পাঞ্জাবি ও প্যান্ট-শার্ট
কিনেছি। পাশাপাশি শশুর-শাশুড়ি এবং পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছি।
ঈদকে
ঘিরে শপিংমলের পোশাক, জুতা, কসমেটিকস সহ প্রায় সব দোকানে বিক্রি বেড়েছে।
বেড়েছে ভিড়। বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় নামের পোশাক এবং নামি-দামি ব্যান্ডের
জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়েছে অনেক বেশি। প্রায় সাড়ে ১৫ ঘন্টার বেচাকেনার
প্রতিটি মুহূর্তে বিপনীগুলো ছিল ক্রেতায় পরিপূর্ণ।
সাত্তার খান
শপিংমলের জুতা দোকানদার মুমিন মজুমদার বলেন, বেচাকেনা আলহামদুলিল্লাহ অনেক
ভালো হচ্ছে। সারাদিন বিরতিহীনভাবেই বেচাকেনা করেছি। স্নিকার্স বিক্রি করেছি
প্রায় ৪০ জোড়া। ঈদের সময় কম থাকায় এখন কেউই না কিনে ফিরে যায় না। সবাই-ই
কেনাকাটা শেষ করে ফেলার চেষ্টা করছে।
শহরের শপিংমলে বেড়েছে ক্রেতার
ভিড়। জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পরবে
ঈদের উচ্ছ্বাস এমনটাই প্রত্যাশা।