শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৬ মাঘ ১৪৩১
আটা ময়দা দিয়ে বানাতেন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রেপ্তার-৫
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৪৫ এএম |



আটা ময়দা দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক বানানো একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহীন (৩৪), শহীদুল ইসলাম (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৩৬), হৃদয় (২০), হুমায়ুন (৩৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। উদ্ধার করা নকল অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আটা, ময়দা, সুজি ও বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি করা হতো।
রোববার রাজধানীর মতিঝিল ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা ঢাকার সাভারে ও কুমিল্লায় কারখানা তৈরি করে নকল এই অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট-ক্যাপসুল তৈরি করতেন। পরে তা ট্রাক বা পিকআপে করে বরিশালে মজুত করতেন। সেখানে গুদামজাত করে পরে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ারের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করতেন। চক্রটি গত ৮-১০ বছর ধরে এ প্রতারণা করে আসছিলো।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে বাজারে ছাড়তো। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনী ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করতো।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল কোতয়ালী থানা এলাকার নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে বিভিন্ন পরিবহন ও গ্রেপ্তার শাহিনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিলেন। গ্রেপ্তার হুমায়ুন রাজীব অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করতেন তিনি। এছাড়া সিরাজুল ইসলাম ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রির যাবতীয় কাজে অধিক মুনাফার জন্যে শহীদুলকে সহায়তা করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার আবু বক্কর নামে ব্যক্তি বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে শহীদুলের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন।
তিনি বলেন, মূলত কুমিল্লার আবু বক্কর এসব নকল ওষুধ তৈরি করে শহীদুলকে দিতেন। তিনি সেগুলো বরিশালে গুদামজাত করে পরে অন্যদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই এবং যে ওষধুগুলো বাজারে নেই সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করতো। এছাড়াও তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ নকল করে সেগুলোর ভেতরে আটা, ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি করতো। পরে তা বাজারে বিক্রি করতো। আমরা তাদের কাছ থেকে দুই কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করেছি। এর আগেও তারা কোটি কোটি টাকার নকল ওষুধ তৈরি করে বিক্রিও করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গত আট থেকে ১০ বছর ধরে এই ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছিল। যারা এসব ওষুধ উৎপাদন করে আমরা তাদেরও খুঁজছি। তাদের নামে এখন পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। আমরাও তাদের তিনজনকে আগেও গ্রেপ্তার করেছি। তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও এই ব্যবসা শুরু করে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য তারা ওষুধ প্রশাসনকে দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে ডিবি।













সর্বশেষ সংবাদ
‘খাজনা’ দিয়ে ফ্যাসিবাদ পুন:প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে :রফিকুল ইসলাম খান
কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আটক
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ
তৃণমূল থেকে দলকে শক্তিশালী করাই লক্ষ্য- জাকারিয়া সুমন
চৌদ্দগ্রামে আ'লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হালিম গ্রেফতার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে তালা
কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আটক
কুমিল্লা আমড়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরব ও ঐতিহ্যের ৫০ বছর পূর্তি
কুমিল্লায় বাহারের বাড়িতে ফের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
তৃণমূল থেকে দলকে শক্তিশালী করাই লক্ষ্য- জাকারিয়া সুমন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২