ঈদ আসছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবে মানুষ। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে এবার ঢাকা ছাড়বে প্রায় এক কোটি মানুষ। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলা থেকে আরো অন্তত ৬০ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে।
অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী রয়েছে অন্তত ২০ লাখ। তারাও ঈদে নিজ নিজ এলাকায় ফিরবে। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল-পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ বাড়ি ফিরবে।
উৎসবে নিকটজনদের পাশে যাওয়ার আনন্দ অনেক সময় ম্লান হয়ে যায় ঈদ যাত্রার বিড়ম্বনায়।
প্রতিবছরই ঈদের সময় রাস্তায় যানজটে বড় সময় চলে যায়। দেখা যায়, ঈদের সময় আন্ত জেলা বাস কম্পানিগুলো তাদের ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামাল দিতে চালু হয় বিশেষ সার্ভিস। এ সময় বিআরটিসিও বিশেষ সার্ভিস চালু করে।
কিন্তু ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। আবার আঞ্চলিক রুটের অনেক বাসও চলে আসে মহাসড়কে। এবারও ঈদ যাত্রা বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার এলেঙ্গার পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই যানজটের প্রভাব পড়তে পারে সড়কের অন্য অংশেও।
কারণ অন্য সময়ের তুলনায় ঈদে এ পথে যানবাহনের চলাচল আড়াই থেকে তিন গুণ বাড়বে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ির টোল আদায়েও দেরি হতে পারে, যা গাড়ির গতিকে ধীর করে দেবে। অন্যদিকে গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কের অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট টঙ্গী, মীরেরবাজার, ভোগড়া বাইপাস ও চন্দ্রা মোড়ে আসন্ন ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আসন্ন ঈদ যাত্রায় তীব্র যানজটের কারণ হতে পারে-এমন ১৫৫টি জায়গা চিহ্নিত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৮টি, ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে ৫২টি, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছয়টি, ঢাকা থেকে সিলেট মহাসড়কে ৪১টি এবং ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা মহাসড়কে আটটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করতে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা গেলে আশা করা যায়, এবার অনেকটাই নির্বিঘœ হবে ঈদ যাত্রা।