সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলনের লুকিয়ে রাখা ১৭ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৩১ মার্চ) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে বারোয়ানিতলা এলাকায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের এক স্বজন সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর ইউএনও শামীম ভূঁইয়া লুকিয়ে রাখা সরকারি চাল জব্দ করেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সেলিম উদ্দীনের বাড়িতে সরকারি চাল আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাড়ির পূর্বপাশের একটি ঘরের ভেতর লুকানো ১৭ বস্তা সরকারি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবির) চাল জব্দ করা হয়। সেলিম কার্ডধারীদের কাছ থেকে ভিডব্লিউবির চাল ক্রয় করে বাড়িতে রাখার কথা স্বীকার করায় তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেলিম জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে।ইউএনও বলেন, ‘আমরা চাল জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রেখেছি।’ এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
আগরদাঁড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন জানান, ‘গোডাউন থেকে চাল এনে কার্ডধারীদের তালিকায় টিপসহ নিয়ে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ কাজে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। বিতরণের পর সেই চাল সেলিমের বাড়িতে কীভাবে আসল তা তিনি জানেন না।’
এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন তার অবৈধ কাজ ওই সেলিমের মাধ্যমেই করে থাকেন। সেলিম চেয়ারম্যানের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত। এ চাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে চেয়ারম্যান জড়িত।