রামাদ্বানুল মোবারক শুরু হয়ে রহমতের অংশ শেষ হওয়ার পর
মাগফিরাতের অংশের শেষ প্রান্তে আমরা। আজ ৩১/০৩/২০২৪ ইং রবিবার মাগফিরাতের
অংশ এই পৃথিবী ও আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাবে একটি বৎসরের জন্য। হয়ত
কারও জীবন থেকে একেবারেই বিদায় নিয়ে যাবে । কেননা আমরা কেউই জানিনা আগামী
বৎসর রামাদ্বান মাস পর্যন্ত আমরা এই ধরাধামে থাকব কিনা।
মহান আল্লাহর
পক্ষ থেকে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছিল এই রামাদ্বান। কেউ এই অফারের সুযোগ নিতে
পারে কেউ থেকে যায় বঞ্চিত হয়ে। পৃথিবীর ব্যস্ততা ও জাগতিক লোভ লালসা আমাদের
মধ্যে কাউকে কাউকে করে ফেলে অন্ধ। তাইতো এত বড় সুযোগ হাত ছাড়া করে ফেলি।
তবে মহান আল্লাহর কিছু বান্দা আছেন তার ব্যতিক্রম। তাঁরা সর্বদা ব্যাস্ত
থাকেন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরপারের জীবন সাজাতে এবং মহান আল্লাহর
সন্তষ্টি অর্জনে। তাঁদের দেখা যায় নিরবে নিভৃতে ইবাদত বন্দেগী, কোরআন
তেলাওয়াত, চোখের পানিতে দোয়ার মাধ্যমে নিজকে পবিত্র করতে ব্যস্ত। আর এমনটাই
হওয়া উচিত সবার।
রহমতের অংশ চলে নিজকে কি উপযুক্ত করতে পেরেছি রহমত পাওয়ার?
মাগফিরাতও শেষ হতে চলল। কয়দিন, কয়রাতে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে একাগ্র চিত্তে কেঁদে কেঁদে বলেছি রবের নিকট নিজের অপরাধ গুলোর কথা?
আর
বার বার ক্ষমা চেয়ে গুনাহ গুলোকে মার্জন করে পবিত্র হওয়ার প্রাণপন চেষ্টা?
যদি করতে পারি তাহলে এখানেই একজন বান্দার বড় সফলতা। তাইতো রাসুল করিম (দ:)
এরশাদ করেছেন “যে ব্যক্তি রামাদ্বানের রোজা পরিপূর্ন ঈমান ও
পরিমার্জিতভাবে রাখতে পারল। তাঁর পূর্বেল সমস্ত গুনাহগুলো মাহন আল্লাহ
ক্ষমা করে দেন। আর মাগফিরাতের অংশের বিশেষ ক্ষমার সুযোগতো আছেই। তাই আসুন
সবাই মিলে আল্লাহর প্রেমে একাত্ম হয়ে নিজকে পবিত্র নেই সাথে সাথে শোধরে
নেই। এখানেই জীবনের সফলতা।
হাফেজ মাও: মুফতী মোহাম্মদ ইব্রাহীম ক্বাদেরী
ইমাম ও খতীব
কান্দিরপাড় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ও
কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, কুমিল্লা।