শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
বছরে পৌনে তিন লাখ অকালমৃত্যু
প্রকাশ: রোববার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১:৩০ এএম |

বছরে পৌনে তিন লাখ অকালমৃত্যু
বায়ুদূষণের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়-কখনো এক নম্বরে, কখনো বা সামান্য নিচে। অতিমাত্রায় দূষণের কারণে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে। মানুষ ব্যাপক হারে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
এসব কারণে যত মানুষ মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণসহ পরিবেশের চার ধরনের দূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালিসিস (সিইএ)’ নামের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এমন প্রতিবেদন এটাই প্রথম নয়।
প্রতিবছরই বিশ্বব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি অনেক সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এমন দুর্বিষহ অবস্থার কথা উঠে আসে। জনস্বাস্থ্যে তার মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার কথা বলা হয়। করণীয় সম্পর্কেও সুপারিশ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অতিমাত্রায় দূষণ না কমে বরং দিন দিন আরো বেড়ে চলেছে।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে যে চার ধরনের দূষণকে বেশি দায়ী করা হয়েছে, সেগুলো হলো-বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নি¤œমানের পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সিসাদূষণ। এসব কারণে যত অকালমৃত্যু হয়েছে, তার ৫৫ শতাংশই হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিসার বিষক্রিয়ায় শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।
বৈশ্বিক মানদ- অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) বা একিউআই ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়।
আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। উন্নত দেশগুলোতে এ রকম ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু ঢাকার একিউআই ৪০০ ছাড়িয়ে গেলেও নাগরিকদের সতর্ক করা হয় না।
গত বছর বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক যৌথ প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস চিহ্নিত করা হয়েছিল। এগুলো হলো-ইটভাটার কালো ধোঁয়া, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট দূষণ। এ ছাড়া আছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব, খোলামেলাভাবে বর্জ্য পোড়ানো, কলকারখানার দূষণ, রান্নাঘরের ধোঁয়া ইত্যাদি। কিন্তু এসব দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক। দেশে বৈধ ইটভাটার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এগুলোতে প্রায় কোনো নিয়ম-কানুন মানা হয় না। দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। অবৈধ হলেও এগুলো বন্ধের ব্যাপারে রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের এক ধরনের অনীহা দেখা যায়। কলকারখানার তরল ও কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা হয়। ইটিপি থাকলেও বহু কারখানা খরচ বাঁচাতে সেগুলো চালায় না। ফলে নদী ও জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফিটনেসহীন গাড়ির কালো ধোঁয়ায় রাস্তা আচ্ছন্ন থাকছে।
আমরা মনে করি, বায়ুদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এসংক্রান্ত আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।













সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
অফিসে হামলার সময় চেয়ে চেয়ে দেখলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দালিভ রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft