বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার
‘টাইমড আউট ডার্বি’ শেষ গন্তব্যে! ব্যাপারটা খটকা লাগতে পারে। আরও খোলাসা
করলে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয় দলই টাইমড আউট সেলিব্রেশন নিয়ে
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা করলো তাতে এই সিরিজের নাম ডাচ বাংলা ব্যাংক সিরিজ না
হলে ‘টাইমড আউট’ সিরিজ হলে বেশি জনপ্রিয়তা পেতো।
শ্রীলঙ্কা ২-১ ব্যবধানে
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ট্রফি গ্রহণ করে টাইমড আউট সেলিব্রেশন করে। হাতে
ঘড়ি দেখিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে ইঙ্গিত দেন। পরে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জিতে এই
সেলিব্রেশনকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যান। দুই দলের এই টাইমড আউট সেলিব্রেশনের
ফয়সালা হবে টেস্ট সিরিজে। যেখানে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে। সিলেটে
শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতেছে। চট্টগ্রামে কেবল ড্র করলেই শিরোপা তাদের। আর
বাংলাদেশ জিতলে সিরিজে আসবে সমতা।
ম্যাচে কি হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে
বাংলাদেশ এই ম্যাচে তাদের কেমন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে সেই উত্তর দিতে
গিয়ে বেশ শক্ত কথাই বললেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ‘বাংলাদেশ
আক্রমণাত্মক হলে আমরাও আক্রমণাত্মক হব। আর ওরা শান্ত থাকলে আমরাও শান্ত
থাকব।’
টাইমড আউট যাকে দিয়ে শুরু সেই সাকিব আল হাসান এই ম্যাচ দিয়ে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর চোট
পেয়ে লম্বা সময়ে মাঠে বাইরে ছিলেন তিনি। এরপর বিপিএল ও ঢাকা লিগের ম্যাচ
খেলেছেন। এবার তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পালা। সাকিবকে নিয়ে মাঠে
নামায় বাংলাদেশের কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।
এই টেস্টে তিনি কেমন ভূমিকা
রাখতে পারেন? জানতে চাইলে ধনাঞ্জয়া তেমন কিছু বলতে চাইলেন না, ‘এখন বলতে
পারব না। ম্যাচের পরে বলতে পারব। ম্যাচের আগে পারব না।’ টেস্ট অলরাউন্ডার
র্যাংকিংয়ের তিন নম্বরে থাকা সাকিবকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে
চাইলে বলেছেন, ‘আমার কী বলা উচিত? সে তো আমার দলের খেলোয়াড় নয়। আপনার
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে জিজ্ঞাসা করা উচিত (হাসি)।’
শেষ ম্যাচে
শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ধুকেছে। লেট অর্ডারে ধনাঞ্জয়া ও
কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরি করেছেন উভয় ইনিংসে। চট্টগ্রামে টপ অর্ডার থেকে
রান চান ধনাঞ্জয়া, ‘এই ম্যাচে টপ অর্ডাররা ভালো করতে মুখিয়ে। তারা যদি
প্রথম পাঁচজন রান করেন আমার ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজনই হবে না।’
পেসার রাজিথা এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। লঙ্কানরা তিন পেসার নিয়ে খেললে আসিথা দলে ঢুকবেন বলে জানিয়ে রাখলেন লঙ্কান অধিনায়ক।