পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য প্রকল্পের ঘর ভাংচুর করাসহ মাছের খাবার লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের জানঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা নেয়নি। ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জানঘর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিন আহাম্মদের ছেলে মেয়েরা মিলে একটি মৎস্য প্রকল্প করেন। উক্ত মৎস্য প্রকল্পের পাহাড়াদার থাকার ঘরটি বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়। এ সময় ঘরের ভিতরে থাকা প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছের খাদ্য নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ফজলে কবির বাদী হয়ে সৈয়দ আবুল হাসান, আফজালুন্নেছা, আবদুল মান্নান, আবু জাহের ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকার সৈয়দ মজিবুর রহমান, সৈয়দ আবির ও মোহাম্মদ কাইয়ুমসহ ৮/৯ জন জানায়, উক্ত পুকুরের মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা থাকা সত্বেও প্রকল্পের পাহাড়াদার থাকার ঘরটি প্রতিপক্ষরা আরো দুইবার ভাংচুর করে এবং ৩ বার উক্ত পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ৩ বার এলাকায় সালিশ বসলেও প্রতিপক্ষরা না আসায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ আবুল হাসানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি সফিউল আলম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। ঘটনা সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।