শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
রবিবাসরীয়
প্রকাশ: রোববার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ১২:৫৪ এএম |

রবিবাসরীয়











চিরায়ত সাহিত্য



নিম বিষয়ক দুটি গল্পের একটি বিখ্যাত কথা শিল্পী বনফুল এর ‘নিম গাছ’। তিনি বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়, বিহারের পূর্নীয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন, পেশায় ডাক্তার। তাঁর নিম গাছ আরো বহুকাল পঠিত হবে। দ্বিতীয় গল্প ‘ নিম অন্নপূর্ণা’, এ গল্পে নিম অর্থ বেঁচে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতা।  কমল কুমার মজুমদার এর গল্প ‘নিম অন্নপূর্ণা’। সুনীল গঙ্গোপধ্যায়  কমল কুমারের গল্প সমগ্রের  ভূমিকায় বলেন, কোনো প্রকাশক তাঁর বই ছাপতে আগ্রহী হলে তিনি অবাক হতেন। ‘ নিম অন্নপূর্ণা’  নামে তাঁর প্রথম সংকলন যখন বেরুলো, তা নিয়ে তিনি কৌতুক করতেও ছাড়েননি। আমাদের বলেছিলেন, ঐ বইটা ১৭ কপি বিক্রি হয়েছে,  তারপরে ১৮ জনে এসে ফেরৎ দিয়ে গেছে।’
 নিজেকে নিয়ে এমন মকারি কয়জনে করে!  অদ্ভুত পরিহাস!  পরিহাসের অন্তরালে নিজের  ক্রোধও সামাল দেন লেখকগণ। স্মরণযোগ্য, জগত বিখ্যাত ইরানি কবি, শাহানামা খ্যাত হাকিম আবুল কাশেম ফেরদৌসি তুষি, তিনি সুবক্তগীনের পুত্র গজনী অধিপতি সুলতান মাহমুদের দরবার থেকে  ফিরে যাবার আগে  ক্রোধ অপনয়ন করেন, লিখেন  কবিতা। সেখানেও নিমের তথা তিক্ত বীজের কথা বলা আছে। চিরায়ত সাহিত্য হিসেবে ‘ নিম গাছ ’ এবং কবি ফেরদৌসির  সেই  আক্ষেপাক্রান্ত শাপ এখানে তুলে দেয়া হলো। -বিভাগীয় সম্পাদক


নিমগাছ

রবিবাসরীয়বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়  (লেখকের ছবি যাবে।)  

কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে। পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ। কেউ বা ভাজছে গরম তেলে। খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে। চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ। কচি পাতাগুলো খায়ও অনেকে। এমনি কাঁচাই...

কিংবা ভেজে বেগুন- সহযোগে। যকৃতের পক্ষে ভারী উপকার। কচি ডালগুলো ভেঙে চিবোয় কত লোকৃ। দাঁত ভালো থাকে। কবিরাজরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাড়ির পাশে গজালে বিজ্ঞরা খুসী হন। বলেন-”নিমের হওয়া ভাল, থাক, কেটো না। কাটে না, কিন্তু যতœও করে না। আবর্জনা জমে এসে চারিদিকে। শান দিয়ে বাধিয়েও দেয় কেউ- সে আর এক আবর্জনা।
হঠাৎ একদিন একটা নূতন ধরণের লোক এল। মুগ্ধ দৃষ্টিতে বেয়ে রইল নিমগাছের দিকে। ছাল তুললে না, পাতা ছিঁড়লে না, ডাল ভাঙ্গলে না। মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইল শুধু। বলে উঠলো, “বাঃ কি সুন্দর পাতাগুলো,কি রূপ! থোকা থোকা ফুলেরই বা কি বাহার, এক ঝাঁক নক্ষত্র নেমে এসেছে যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সায়রে। বাঃ-” খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে চলে গেল।’ কবিরাজ নয়, কবি।
নিমগাছটার ইচ্ছে করতে লাগল লোকটার সঙ্গে চলে যায়। কিন্তু পারলে না।মাটির ভেতর শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে। বাড়ির পিছনে আবর্জনার স্তূপের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রইল সে।
ওদের বাড়ীর গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্ণী বউটার ঠিক এই দশা।



         শিরোনামহীন
রাজবংশ হতে যদি জন্ম  তোমার
বকশিতে স্বর্ণমুদ্রা মুকুট সোনার ॥
উচ্চমান নাহি যার বংশের ভেতর
কেমনে সহিবে সে মানির আদর ॥
তিক্ত বীজ হতে যে তরুর জন্ম
নন্দন কাননে তারে করো রোপণ ॥
সিঞ্চন কর মূলে মন্দাকিনি ধারা
মধু আর দুগ্ধে ভরা খাদ্যের পসরা ॥
তথাপি ফলিবে তার আপন স্বভাব
শতত সে তিক্ত ফল করিবে প্রসব ॥
 মূলঃ  মহাকবি ফেরদৌসি,
(সংগৃহীত, দীর্ঘ কবিতার অংশ বিশেষ)

নিম বিষয়ক জটিলতা


রবিবাসরীয়গাজী মোহাম্মদ ইউনুস ।।

ছোট ছেলের বসন্ত রোগ হয়েছে। তাই পেরেশানি বেড়েছে নাদুর। কয়েকদিন ধরে বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে ছেলেটা। লাল লাল গোটাগুলি সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকটা ফুটেছে গালে আর কপালে। একসময় কালো হয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে। ভালো হয়ে গেলেও ক্ষতের দাগ রয়ে যাবে চিরকাল। তখন মুখটা দেখাবে খোদাই করা শিল-নোড়ার মতো। ভবিষ্যতের ছবিটা যেন এখনই দেখতে পাচ্ছে সে। বুকটা চিনচিন করে ওঠে তার। জনক হলে যা হয় আর কী।

বউ তাড়া দিয়ে বলে, পোলাডারে হাসপাতালে লইয়া যাও।
পড়শিরা বলে, কোনো লাভ হবে না। হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নাই। এর জন্য দরকার ঝাড়-ফুঁক, ওঝা-বৈদ্য আর অভিজ্ঞ কবিরাজ। ওঝা-বৈদ্য কই আছে খবর লও।

বৈদ্যের খোঁজে যে যেখানে যেতে বলে নাদু সেখানে যায়। যে যা করতে বলে তাই করে। কিন্তু ফল হয় না। আজ সারাদিন এসবের খোঁজে বহু জায়গায় ঘোরাঘুরি করে অবশেষে ক্লান্ত হয়ে নেইপ্যার দোকানে এলো চা খেতে। দোকানের বাইর-ভেতর কাস্টমারে ঠাসা। সে বাইরে একটা টুলে গিয়ে বসল। এমন সময় মজিদ মাস্টার এলেন সেখানে। তিনি বললেন, তোমার ছেলে কেমন আছে নাদু? ওঝা- বৈদ্য পাওয়া গেছে?
নাদু বলল, পাইছি স্যার। তয় সব ফটকা।
মাস্টার হেসে বলেন, তাদের আর দোষ কী, আমরা সকলেই যে ফটকা! সে যাক, যতদিন ভালো কবিরাজ না পাওয়া যায়, ততদিন ছেলেকে দুই বেলা করলার রস আর নিমপাতার বড়ি খাওয়াও। পারলে ঘরের দুয়ারে ্একটা নিমের ঠাইল বাইন্ধা দিও। নিমের হাওয়া খুবই উপকারী।
এই শুনে পাশ থেকে টেটনা মন্তাজ বলল, এই রোগে নিমের পাতা কী কামে আইব ছ্যার?
টেটনা মন্তাজ হলো সেই লোক যে কিনা সব বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। হোক বা না হোক নিজের মতামত প্রতিষ্ঠায় প্রাণপণ চেষ্টা করে আর মানুষকে কথার প্যাঁচে জব্দ করে দারুণ মজা পায়। সে কারণে গ্রামের লোকেরা তার নামের আগে টেটনা বিশেষণটা জুড়ে দিয়েছে।
তার প্রশ্নটাকে সহজভাবে নিয়ে মাস্টার বললেন, হাজার বছর ধরে হয়ে এসেছে এখন হবে না কেন! নিম হলো প্রাকৃতিক এন্টিসেফটিক। গোটা-পাঁচড়া সারাতে এর জুড়ি নেই। তাছাড়া গাছ-গাছড়া, লতা-পাতায় যে ওষুধি গুণ আছে তা কে না জানে! তবে এসব চিনতে হয়, জানতে হয়। এগুলি প্রথম চিনেছিলেন এই উপমহাদেশের মুণি-ঋষিগণ। তাঁরা পাহাড় পর্বতে বসে শুধু জপ-তপই করেন নি, শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এসব গাছ-গাছড়া, লতা-পাতা সংগ্রহ করে ওষুধ বানিয়ে সেবন করতেন। এমনকি কোনটা কোন রোগের ওষুধ তা লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। বৈদিক যুগে এসে তাদের রেখে যাওয়া এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পরবর্তীতে আযুর্বেদ শাস্ত্রের জন্ম হয়। ওই সময়ে নিমের কথাও লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে অদ্যবধি নিমের উপযোগিতা একটুও হ্রাস পায় নি। কিন্তু অবাক লাগে সেকালের এসব মুণি-ঋষিগণ শুধু ধর্ম-কর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন না, পাশাপাশি তাঁরা মানবতার কাজটুকুও করতেন।
শুনে উপস্থিত সবাই মাস্টারের কথায় সায় দিলেও টেটনা চুপ করে বসে থাকে। সামান্য একটা কথা নিয়ে মাস্টারের এই লম্বা লেকচার তার ভালো লাগে না। সে মনে মনে বলে, মাস্টারদের চরিত্রই এমন, কথা কওনের সুযোগ পাইলে আর থামে না। কেবল জ্ঞান দেয়। আর মনে করে হগলেই বুঝি তার ছাত্র। তার লেকচারের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু একটা কওন লাগে কিন্তু কী বলবে সে- ভাবতে থাকে।
হঠাৎ নীরবতা ভেঙে বলে, ছ্যার, এইসব মুণি-ঋষিগোর চাইতে বড় একজন জ্ঞানী তো আমোগোর মধ্যেই আছে। উনি কোনোদিন পাহাড়ে-জঙ্গলে গিয়া গাছ-গাছড়া খোঁজেন নাই বরং গাছেরা তার কাছে আইয়া পরিচয় দিয়া কইত, হুজুর আমার নাম এই, আমি এই রোগের ওসুধ, আপনে আমারে চিইন্যা রাহেন!
শুনে মাস্টারের চোখ কপালে উঠে গেল আর ঘর ভর্তি মানুষ একে অপরের মুখের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকাতে লাগল। সঙ্গে সঙ্গে মাস্টার বুঝে গেলেন, টেটনা তার স্বভাবসুলভ নিয়মে একটি কুতর্ক টেনে এনে তাকে জব্দ করতে চাইছে। এখন তিনি কী করবেন? টেটনাকে উপেক্ষা করবেন, নাকি বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাবেন? দু’টোই সহজ। কিন্তু এটা করতে গেলে উপস্থিত লোকগুলি বিভ্রান্ত হবে এবং যাওয়ার সময় সঙ্গে করে একটা ভুল বার্তা বহন করে নিয়ে যাবে। তিনি অবাক হওয়ার ভাণ করে বললেন, ও তাই নাকি! কী নাম ওনার?
মন্তাজ ততধিক অবাক হয়ে বলে, কন কী ছ্যার, দুনিয়ার বেবাক মাইনষে ওনার নাম জানে, আর আপনে জানেন না!
যেন না জানাটা মাস্টারের বিরাট এক অন্যায়। তবু তিনি বলেন, তুমিই বল না শুনি!
মন্তাজ এবার বিজ্ঞের মতো হেসে বলে, ওনার নাম লোকমান হেকিম।
মাস্টার বলেন, তিনি কোন জেলার লোক?
হুনছি পারস্য দেশের।
এই না বললা তিনি আমাদের লোক!
আসলে ছ্যার, তিনি তো মুসলমান ছিলেন, তাই কইলাম আর কী।
মাস্টার বললেন, বেশ, বেশ। তো বসন্ত রোগের জন্য তিনি কী ওষুধের কথা বলেছেন?
নাদু এবার নড়েচড়ে বসল। ভাবল, তাদের কথাবার্তা, আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন কোনো ওষুধের নাম হয়ত বেরিয়ে আসবে। এটা সংগ্রহ করতে তার যত কষ্টই হোক সে করবে এবং ছেলের জন্য নিয়ে যাবে। এই আশায় নাদু আলোচনার শেষটুকু শোনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ও একটা বিড়ি ধরায়। কিন্তু তাকে হতাশ করে দিয়ে মন্তাজ বলে, ছ্যার আমার তো কহনো বসন্ত অয় নাই, তাই জানি না।
মাস্টার বলেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে। বসন্ত ছাড়া তিনি যে আরও অন্য রোগের বিধান দিয়েছেন তার থেকে দুয়েকটা নাম বল তো শুনি।
মন্তাজ বলে, জানি না স্যার।
মাস্টার বলেন, তাহলে জানোটা কী?
টেটনা এবারও নিরুত্তর দেখে নাদু মিয়া মেজাজ হারায়। সে লাফ দিয়ে টেটনার সামনে এসে কটমট করতে করতে বলে, ইচ্ছা করতাছে তোর দুই গালে দুইডা থাপ্পর দিই। হারামজাদা, ফাতরা কোথাকার।
এই বলে সে বাজারের দিকে হাঁটা ধরে। এবং ফিরে এসে বউয়ের হাতে দু’টি করলা তুলে দিয়ে বলে, এগুলি রস কইযা পোলারে খাওয়া। আমি নিমপাতা আনতে যাইতাছি।

আগে গ্রামে কত নিম গাছ ছিল। এখন দেখাই যায় না। বনি আদমের ছাওয়ালদের মাথার গোঁজার ঠাঁই করতে গিয়া সব করাতের তলে কাটা পড়েছে। শুধু কি নিম, আম-জাম-কাঁঠাল-বেল-বাদি কোনোকিছুই বাদ যায় নাই। তবু ক্যামনে ক্যামনে যেন একটা নিম গাছ ঘোষ বাড়ির আঙিনায় এখনও বাইচ্যা আছে। কিন্তু এটা এত মোটা আর খাড়াই দেখলে ভয় লাগে। তবুও ভয়-ডর উপেক্ষা করে নাদু গাছের তলে গিয়ে দাঁড়ায়। আর যা হয় হবে, ছেলেকে বাঁচাতে হবে।

সে পরনের লুঙ্গিটাকে হাঁটুর উপর তুলে শক্ত করে মালকোচা দেয় এবং একবার উপরের দিকে তাকায়। হাত দশেক উপরে একটা ডাল গাছের পেট থেকে বেরিয়ে দক্ষিণে চলে গেছে। ডালের মাথায় চিকন চিকন শাখা-প্রশাখায় কচি কচি পাতাগুলি ঝোপালো হয়ে আছে। পাতাগুলি হাওয়ায় হেলছে, দুলছে। ওইটুকু খাড়াই বেয়ে যদি ডালটার নাগাল পাওয়া যায় তাহলে পাতাগুলি ছিঁড়তে পারবে সে।

গাছে চড়ার আগে আবারও ছেলের কথা মনে হলো তার। না কোনো দ্বিধা নয়, গাছে তাকে উঠতেই হবে। সে গাছটাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু বেড় পাওয়া যায় না। দুই হাতের মাঝখানে বিগত খানিক ফাঁক থেেেক যায়। তবুও সে হাতে পায়ে ভর দিয়ে উপরে উঠতে চায়। কিন্তু তার পা ফিছলে যায়। একবার, দু’বার তিনবার। চারবারের মাথায় অনেকটা উপরে উঠে যায় সে। আর মাত্র দু’হাত। এটুকুন উঠতে পারলে ডালটার নাগাল পাবে।

সে প্রাণপণে নিজেকে উপরের দিকে ঠেলতে থাকে। এসময় হঠাৎ তার বুক কেঁপে ওঠে। মাথাটাও ঝিমঝিম করে ওঠে। আচানক হাতের বন্ধনও শিথিল হয়ে যায়। সে একবার নিচের দিকে তাকায়। তারপরেই সব অন্ধকার।

খবর পেয়ে বউ ছুটে আসে। সে একটা চিৎকার দিয়ে বলে, হায় আল্লা, অহন কে কারে দেখব গো মাবুদ।  













সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft