![সাক্কুর গণজোয়ার ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা]( https://comillarkagoj.com:443/2024/03/05/CK_1709580509.jpg)
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ও দুইবারের সাবেক
মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে একের পর হামলা, বিভিন্নস্থানে কর্মীদের
মারধর এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে টেবিল
ঘড়ি প্রতীকের গণজোয়ার ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর
সমর্থকরা এসব কর্মকা- ঘটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক
সাক্কু ও তার সমর্থকরা। তারা বলছেন, ভোটের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে- মনিরুল হক
সাক্কুর পক্ষে ততোই গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিটি উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে
সাধারণ ভোটাদের ঢল নামছে। এসব দেখে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তার সমর্থকদের
মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এই গণজোয়ার ঠেকাতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে। এজন্য একের পর
এক হামলার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় উঠান
বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ ও রেইসকোর্স এলাকায় সাক্কুর মালিকানাধীন রেডরুফ-ইন
হোটেলে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪ জনকে আহত করা হয়েছে। এর আগে নগরীর ১৫নং
ওয়ার্ড, ৬নং ওয়ার্ড ও ২নং ওয়ার্ড এলাকায়ও হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এসব
ঘটনায় উল্টো সাক্কু সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
মেয়র
প্রারর্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, চারদিকে আমার গণজোয়ার দেখে তাদের মাথা
নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য সন্ত্রাস করে বিজয়ী হতে চাইছে। বিভিন্ন স্থানে টেবিল
ঘড়ির কর্মীদের ওপর হামলার পাশাপাশি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে ভয় দেখানো
হচ্ছে। সারা শহরে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পোস্টার লাগালে তা গায়েব
করে দেওয়া হচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এসব বিষয়ে কঠোর হওয়ার অনুরোধ
জানাচ্ছি।
এদিকে সোমবারের হামলার পর মনিরুল হক সাক্কু রাতে তার বাসভবনে
এক সংবাদ সম্মেলনের নির্বাচনের মাঠে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, তারা ভাবছে- আমাদেরকে হুমকি-ধমকি হামলা চালিয়ে আমাকে
প্রার্থী থেকে সরিয়ে দিয়ে বিজয়ী হয়ে যাবে; কিন্তু তা পারবে না। আমি
বুঝে-শুনেই দাঁড়িয়েছি। আইন বহির্ভূত কিছু করতে আমি রাজি না। জনগণ আমার সাথে
আছে। জনগণকে সাথে নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে ভালো লাগলে জনগণ ভোট
দিবে। এবারের ভোটটা হচ্ছে আমার প্রতিবাদ। মানুষ ভোট দিতে পারে না,
স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না; কাজ করতে পারে না। এলাকাভিত্তিক গুন্ডাদের
জন্য সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে পারে না। একটা দল করে, তাদের সব কথা শুনতে
হবে। এর প্রতিবাদে আমি ভোটে দাঁড়াইছি, আমি মাঠে আছি। কারো সাথে আমার
ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই, আমার কথা হলো কুমিল্লা শহরের মানুষকে নিরাপদে
থাকতে হবে। আমি সাক্কু জীবনে বহু উত্থান-পতন দেখেছি; আমার মুখ কেউ বন্ধ
করতে পারবে না। আমি এ শহরে জন্মগ্রহণ করেছি, হাওয়া-বাতাস খেয়েছি; এই শহরের
জনগণের সাথে আছি।
![সাক্কুর গণজোয়ার ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা]( https://comillarkagoj.com:443/2024/03/05/CK_1709580533.jpg)
মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার
কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবারের ঘটনার পরও আমি
নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়েছি। তাদেরকে সবকিছু বলালম।
আমার বৈঠক ও কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে, আপনাদেরকে জানাচ্ছি। সোমবারও হামলা
হলো। এর আগে ১৫নং ওয়ার্ডে হামলা হলো, ৬নং ওয়ার্ডে এক কর্মীকে কুপিয়ে আহত
করলো, সে এখনো হাসপাতালে। ২নং ওয়ার্ডে একজনের উপর হামলা হলো। আপনাকের কাছে
অভিযোগ দিচ্ছি, কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এখন আমি কি করবো।
সংবাদ
সম্মেলনে সাক্কু অভিযোগ করেন, এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমার কর্মীদের বাসায়
বাসায় গিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নাহলে নির্বাচনের পর এলাকায়
থাকতেও পারবে না বলে জানায়।