নেপালকে
হারিয়ে আসা বাংলাদেশের সামনে এবার কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত, যারা ভুটানকে
উড়িয়ে শুরু করেছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ কোচ
সাইফুল বারী টিটুও সমীহ করছেন ভারত দলকে। তবে একই সঙ্গে তিনি প্রত্যয়ী
কণ্ঠে বললেন, বাংলাদেশ দল ভুটানের মতো নয়।
নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা
কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে দুই দল। ভুটানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে আসরে
দাপুটে শুরু পেয়েছে ভারত। স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের স্বস্তির
জয় পায় বাংলাদেশ।
রাউন্ড রবিন লিগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল
খেলবে ফাইনাল। সেই হিসেবে একটি করে ম্যাচ জিতে শিরোপা লড়াইয়ের পথে এক পা
বাড়িয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ও ভারত। আসছে ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্যই সমান
গুরুত্বপূর্ণ।
কিছুদিন আগে অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি
হয়েছিল এই দুই দল। রাউন্ড রবিন লিগে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ফাইনালেও দেখা হয়েছিল দুই দলের; নির্ধারিত সময়ে ও টাইব্রেকারের খেলা সমতায়
শেষ হওয়ার পর অনেক নাটকীয়তার অবসান হয় যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
নেপালের
এই প্রতিযোগিতায়ও অনেকের মনে হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত ফের ফাইনালে মুখোমুখি
হবে। টিটু তাই এই ম্যাচে নিজেদের ও প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতাগুলো
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নিতে চান।
“কালকের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, আমরা কোন মানের দল,
সেটাই কাল বোঝা যাবে, কেননা, ভারত ভালো দল। আরেকটা বিষয়, ওদের শক্তির দিক,
দুর্বল দিক এবং আমরা কোন কোন জায়গায় ওদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে
পারছি, কোথায় পারছি না, এটাও বোঝা যাবে।”
“বিশেষ করে ভারতের আক্রমণভাগ
ভুটানের বিপক্ষে খুবই ভালো খেলেছে। কিন্তু আমরা তো ভুটান না; তো আমরা কতটা
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি, এ বিষয়টা তো থাকবেইৃঅবশ্যই এই ম্যাচটা আমি
ইন্টারেস্টিং ম্যাচ হিসেবে দেখতে চাচ্ছি। যদি আমরা ধরে নেই, এই দুইটা দল
(বাংলাদেশ ও ভারত) ফাইনাল খেলবে, সে হিসেবে এ ম্যাচটিকে তো ড্রেস রিহার্সেল
বলাই যায়।”
নেপাল ম্যাচে জোড়া গোল করা সুরভী আকন্দ প্রীতি পুরো সময়
খেলতে পারেননি। হালকা ব্যথা আছে এই ফরোয়ার্ডের পায়ে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে
প্রীতিকে খেলানো নিয়ে টিটু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি এখনও।
“গত ম্যাচে
দুই গোল করার পর প্রীতি উঠে গিয়েছিল। ও বলছে ওর পায়ে একটু ব্যথা আছে,
কিন্তু সে খেলতে চাচ্ছে (ভারত ম্যাচে)। আমি মনে করি প্রীতির বিষয়টি
সতর্কভাবে দেখতে হবে আমাদের। দেখতে হবে ওকে কতটুকু খেলানো যাবে, আবার যদি
একেবারে না খেলায়, তাহলে সেটা ওর মনের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে, এই
বিষয়গুলো মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিব। বাকিটা ঠিক আছে। এর বাইরে যাকেই মাঠে
নামাবো, সে যেন পারফরম করে- কেননা, এটাই একটা ভালো দলের পরিচয়।”