শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
রাজধানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
প্রকাশ: রোববার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ১২:৫৯ এএম |

রাজধানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আমাদের স্মৃতি থেকে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো একেবারেই মুছে ফেলা যাচ্ছে না। ২০২৩ সালের ৫ মার্চ মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় তিনতলা একটি ভবন বিস্ফোরণে আংশিক ধসে পড়ে। গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের একটি সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এর আগে ২০১০ সালে নিমতলী কেমিক্যাল ওয়্যারহাউসের অগ্নিকা-, ২০১২ সালে তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকা-, ২০১৯ সালে চুড়িহাট্টা কেমিক্যাল ডিপোর অগ্নিকা-, ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ মসজিদে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণ, ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ফ্যাক্টরির অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকা-ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
একের পর এক ঘটছে নানা মাত্রার অগ্নিকা-। মৃত্যুর পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার মালপত্র-সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের আগুনে নিহত হয়েছে ৪৬ জন।
হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১২ জন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই সম্পাদকীয় নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী ভবন থেকে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বেইলি রোডের অগ্নিকা-ে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেখার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মারা যাওয়া প্রত্যেকের কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
এরই মধ্যে ৩৭ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে চুলা থেকে বা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল বলেও জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অগ্নিকা- ও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কার্যক্রমের ২০২২ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং পুলিশ সূত্রের তথ্য মতে, সারা দেশে এই দুই বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬৩টি অগ্নিকা- ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে আগুন লাগার ২০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিস্ফোরণ ও অগ্নিদুর্ঘটনার পর বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিস জানতে পেরেছে, ফায়ার সার্ভিস বা সিটি করপোরেশন থেকে অগ্নিনিরাপত্তা মেনে যে নকশা পাস করা হয়, ভবনগুলো সে অনুযায়ী বানানো হয়নি। অন্তত ৭০ শতাংশ ভবনে এর ব্যত্যয় হতে দেখেছে ফায়ার সার্ভিস।
একের পর এক অগ্নিকা-ের ঘটনায় অনেকে পথে বসে গেছে। একেকটি অগ্নিকা-ের ঘটনা মানেই অপূরণীয় ক্ষতি। এসব অগ্নিকা-ের পেছনে কোনো না কোনো অবহেলা বা অনিয়ম রয়েছে। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। তাই সতর্ক হওয়া উচিত শহর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগগুলোর। আমরা চাই না, এ ধরনের কোনো অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটুক। অকালে ঝরে যাক মূল্যবান প্রাণ। তাই যেসব কারণে আগুন লাগে, তা ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে। বিশেষ করে বহুতল ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
অফিসে হামলার সময় চেয়ে চেয়ে দেখলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দালিভ রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft