হোমনা
প্রতিনিধি: কুমিল্লার হোমনায় অনলাইন জুয়া খেলা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি সিন্ডিকেট মোবাইলে এ্যাপস খুলে গোপনে প্রচারনা চালিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন
দিয়ে লোকজনকে কৌতহলী করে তোলে। এতে কৌতহলী হয়ে লোভে পড়ে মোবাইলে এ্যাপস
খুলে মানববিধংসী খেলায় আসক্ত হয়ে মোবাইল ব্যাংকিং /বিকাশ/ নগদ/ রকেটের
মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেন করেন। এক সময় এ্যাপসটি বন্ধ হয়ে গেলে শারিরীক,
মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়াবহ।
এতে স্কুল কলেজের শিক্ষকরাও জড়িত হয়ে পড়ছে। সম্পতি এ অনলাইন (জুয়া) বিট
কয়েন খেলে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন উপজেলার ফতেরকান্দি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ও শান্তা ইসলাম।
তারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে,
উপজেলার ফতেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শান্তা
ইসলাম ও তার স্বামী মো. ইকবাল হোসেন দাউদকান্দি থানার একটি সিআর মামলায়
গ্রেফতার হন। পরে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম
স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
জানাগেছে, এ
শিক্ষক দম্পতি লোভে পড়ে অনলাইন বিট কয়েন খেলায় আসক্ত হয়ে বিভিন্ন লোকজনের
নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লেনদেন করেন। এক পর্যায়ে সেই
অনলাইন বিট কয়েন আইডি বন্ধ হয়েগেলে সেই টাকা আর পরিশোধ করতে পারছে না।
হোমনা
উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বিকাশ এজেন্টের মালিক মো. শরীফ ইকবালের
মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৯ লাখ ১১ হাজার ১৮০ টাকা
লেনদেন করেন। পরে খেলার এ্যাপস বন্ধ হয়েগেলে সেই টাকা পাওয়ার জন্য গত
৪/১/২০২৪ ইং কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) বরাবর লিখত অভিযোগ করেন।
বিষয়টি
সহকারি উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার,মো. নজরুল ইসলাম ও
মু আনিসুর রহমান( ৩ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি) তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে
পাওনাদার শরীফ ইকবাল জানান, এ শিক্ষক দম্পতি প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আমার
টাকা আত্মসাৎ করেছে। টাকা পরিশোধ করতে কয়েক দফা তারিখ দিয়েও টাকা পরিশোধ
করছে না। তাই ডিপিও বরাবর অভিযোগ করেছি।
হোমনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
মো. নুরুল ইসলাম জানান, দাউদকান্দি থানার একটি সি আর মামলায় গ্রেফতার হলে
২০১৮ এর বিধি১২(২) এর বিধান মতে ২০/১২/২০২৩ ইং তারিখ হতে তাদেরকে বরখাস্ত
করা হয়েছে। এ ছাড়া মো.শরীফ ইকবাল নামের এক বিকাশ ব্যবসায়ির অভিযোগের
তদন্তেরর জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটিকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত
অব্যহত আছে।