পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য
|
![]() ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছরই বেচাকেনা ভালো হয়। তবে ফেব্রুয়ারিতে এই ৩টি দিবসের জন্য বেশি কেনাবেচা হয়। আর এই তিন দিবস যতএগিয়ে আসবে ফুলের দামও ততই বাড়বে। আশা করেছেন সারা বছর ধরে তারা যে ক্ষতির শিকার হন, বছরের এই সময়ে ফুল বিক্রি করে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় গোলাপ শীর্ষে। পাশাপাশি গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, জিপসি, চেরি, গ্লাডিওলাস রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, যা মাসখানেক আগেও বিক্রি হয়েছে মাত্র ১ থেকে ৩ টাকায়। রজনীগন্ধা বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৬ থেকে ১৮ টাকায়। এ ছাড়া গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। যা আগে ছিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সাতক্ষীরা জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন মিলন বলেন, কাঁচামাল হওয়ার কারণে সারা বছর ধরে আমরা ফুল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হই। বছরের এই সময়ে ফুল বিক্রি করে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব। এই তিন দিবস যত এগিয়ে আসবে ফুলের দামও ততই বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে এবার তিন দিবসে সাতক্ষীরায় অন্তত ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। সব মিলিয়ে এই মাসেই প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে সাতক্ষীরাতে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনির হোসেন বলেন, সাতক্ষীরাতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ না করার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে ফুল নিয়ে এসে চাহিদা পূরণ করা হয়। ফুলের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বাজারগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
|