শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
১২ শ্রাবণ ১৪৩১
মেলায় আবার যেতে চান মুশতাক-তিশা
প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৯ পিএম |

মেলায় আবার যেতে চান মুশতাক-তিশাঅমর একুশে বইমেলার শুরুর সপ্তাহেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদের দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বইয়ের প্রচারণায় মেলায় গেলে মুশতাক-তিশা দম্পতির উপস্থিতি নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সহায়তায় মেলা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর গণমাধ্যমে তাদের নিয়ে যেসব প্রতিবেদন করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘‘অনেকে লিখেছে আমি ‘বইমেলায় যাবো না’, ‘আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে’, ‘আমাদের ধাওয়া দিয়েছে’; কিন্তু বিষয়গুলো এমন ছিল না।’’

তিনি বলেন, ‘আমার বই প্রকাশ হয়েছে, আমিতো আবারও মেলায় যেতে চাই। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয়, মেলা কর্তৃপক্ষ সেটি নিশ্চয় দেখবেন।’ যদিও আয়োজকরা বলছেন, তিনি মেলায় আসতেই পারেন। তবে তাতে করে যদি মেলায় কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, এর সম্পূর্ণ দায় তার প্রকাশককে নিতে হবে।

কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন বলে জানান। যদিও তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়।

এরই মধ্যে মেলায় দুটি বই প্রকাশ পেয়েছে খন্দকার মুশতাকের। এরমধ্যে একটি বইয়ের নাম ‘তিশা অ্যান্ড মুশতাক’, আরেকটি ‘তিশার ভালোবাসা’। বই দুটি প্রকাশের খবরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ সমালোচনা করে বলছেন, তাদের এই ‘অসম প্রেম’ সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আবার কেউ কেউ তাদের পক্ষ নিয়ে বলছেন, মেলা থেকে বিতাড়ন করে তাদের ব্যক্তি অধিকার খর্ব করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে খন্দকার মুশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম বই প্রকাশ করেছি, এমন না। গত বছরও আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।’

বইমেলায় সেদিন কী ঘটেছিল জানতে চাইলে খন্দকার মুশতাক বলেন, ‘বই প্রকাশ উপলক্ষে আমি বইমেলায় যাই। সেখানে শত শত লোক আমার অটোগ্রাফসহ বই নিতে স্টলের সামনে ভিড় জমায়। কেউ সেলফি তুলছে, কেউ হাত মেলাচ্ছে, কেউ অভিনন্দন জানাচ্ছে, ঈদের মতো উৎসব। মিজান পাবলিশার্সের সামনে ব্যাপক ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। এমনকি স্লোগানও ধরে একটা গোষ্ঠী। কিন্তু ক্রমান্বয়ে লোকসংখ্যা এত বেড়ে যায় যে, যারা বই কিনতে এসেছে তারা স্টলে ঢুকতে পারছিল না। মানুষের ভিড়ে আশপাশের স্টলে বই বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার পক্ষে যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তাদেরই একটা অংশ বিপক্ষে স্লোগান দিয়ে হল্লা সৃষ্টি করে। চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ভেবে আমি স্বেচ্ছায় বইমেলা থেকে বের হয়ে যাই। স্লোগান, হল্লার কারণে দায়িত্বরত আনসারদের বলি মেলার মাঠ থেকে গাড়ি পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে দিতে। কেননা তখনও অনেকে ভুয়া ভুয়া করছিল।’

আপনি আর মেলায় যাবেন না, এমন কোনও কথা বলেছেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাল আমি ফেসবুকে কিছু কথা বলেছি। কিন্তু মেলায় যাবো না, বিষয়টা এমন না। আমরা মেলায় যেতে চাই। আমার বই এসেছে, এটা আমাদের প্রাণের মেলা। আমি মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখবো, তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি আজকেই কথা বলবো।’

মেলার সেই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত একজন জানান, এমনিতেই শুক্রবারে ভিড় থাকে। কাল ওই সময়, তাদের আশপাশে অনেক ভিড় ছিল। পাশে দাঁড়িয়েও ঠিক বোঝা কঠিন যে, ভিড়ের ভেতরে কী ঘটছে। হুট করে দেখি আনসারদের তত্ত্বাবধানে তারা বেরিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তিশা কাঁদছিলেন।

খন্দকার মুশতাকের অভিযোগ, ‘ইউটিউবাররা ভিউ বাড়ানোর জন্য উল্টাপাল্টা পরিস্থিতি তৈরি করে, ভুল শিরোনামে ভিডিও প্রকাশ করে। এসব আমাদের ক্ষতি করছে। আমরা মেলা থেকে বের হয়ে শান্তিনগরের একটি রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে সাধারণত আমরা এক দুদিন পরপরই যাই। আমাকে কয়েকজন কল করলেন, আমি কোথায় জানতে। আমি বললাম হোটেলে বসেছি। নিউজ করে দিলো— ‘মেলা থেকে পালিয়ে বাঁচতে হোটেলে আশ্রয়’। এছাড়া ‘মেলা থেকে বিতাড়িত’, ‘মেলা থেকে বের করে দেওয়া হলো’ এ ধরনের শিরোনামে নিউজ হয়েছেও। কিন্তু আমরা সেখান থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে এসেছি।’

আবারও বইমেলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির করণীয় জানতে চাইলে বইমেলা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব কেএম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি মেলায় আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির কোনও করণীয় নেই। তিনি সেলেব্রিটি হতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য যদি মেলায় কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, আশপাশের স্টল-প্যাভিলিয়ন থেকে অভিযোগ আসে, তাহলে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। আর এজন্য সম্পূর্ণ দায় মিজান পাবলিশার্সকে নিতে হবে।

এদিকে খন্দকার মুশতাকের বইমেলায় আসার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেবেন কিনা বা বাংলা একাডেমির সঙ্গে কোনও আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্নে তার বইয়ের প্রকাশক মিজানুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘উনি আমাদের লেখক। এর আগেও উনার বই আমরা প্রকাশ করেছি। উনি আসতে চাইলে আসবেন। আমরা বাংলা একাডেমির সঙ্গে রবিবার বসবো।’












সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
চিরচেনা রূপে অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আহতদের চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লায় আট মামলায় গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক
আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
গ্রেপ্তার বাড়ছে কুমিল্লায়
অফিসে হামলার সময় চেয়ে চেয়ে দেখলেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft