কুমিল্লার
দেবিদ্বারে কৃষি জমি থেকে একের পর এক সেচযন্ত্রের মোটর ও বৈদ্যুতিক তার
চুরির ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। চুরির এসব ঘটনায় ইরি ও বোরো ধানের
অন্তত ১০০ একর জমির সেচকাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতির শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। গত এক
সপ্তাহে প্রায় ১৫টি সেচপাম্পের যন্ত্রাংশ, মোটর ও বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা
ঘটেছে। উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের দুয়ারিয়া এলাকা গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। চুরি
এসব ঘটনা ঠেকাতে চক্রের সদস্যদের হাতেনাতে ধরতে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন
এলাকায় পাহারায় বসে কৃষকরা। পাহারায় বসে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চোর চক্রের
প্রধান অলিউল্লাহকে মোটর, কয়েল ও বৈদ্যুতিক তারসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে
দিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। আটক অলিউল্লাহ (২৮) চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর
ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে।
যেসব কৃষকের সেচপাম্প চুরি হয়েছে তাঁরা
হলেন, রাসেল মিয়া, আবদুল কাইয়ুম, রহুল আমিন, মফিজুল ইসলাম আবুল হাশেম ও আবু
মুসা। তাঁরা সবাই ধামতী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা
আটক
অলিউল্লাহ চুরির ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, ৪/৫জনের একটি চক্র
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় সেচ জমির কৃষি যন্ত্রনাংশ, পাইপ, বৈদ্যুতিক
তার, মোটর, পানির পাম্প ও মোবাইলসহ চুরি করে আসছে। চুরির পর এসব যন্ত্রনাংশ
মাধাইয়ার একটি দোকানে বিক্রি করে আসছিল।
ধামতি ইউনিয়নের দুয়ারিয়া
এলাকার স্থানীয় কৃষক আবদুল কাইয়ুম, রাসেল ও নাঈমসহ আরও কয়েকজন কৃষক বলেন,
সেচপাম্প ও মোটর চুরির ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে চোরদের হাতেনাতে ধরতে গভির
বিভিন্ন গাছে উঠে পাহারা দিচ্ছিলাম। মঙ্গলবার রাতে পাহারা দিয়ে চক্রের
মূলহোতা অলিউল্লাহকে কয়েকটি মোটর ও তারসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় দিয়েছি।
চক্রের অপর সদস্য সহযোগি তোফায়েল পালিয়ে যায়। একের পর এক চুরির ঘটনায়
কৃষিজমিতে ফসল চাষ ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, সেচপাম্প চোর চক্রের ঘটনায় অলিউল্লাহ
নামে এক চোরকে আটক করে থানায় দিয়েছে কৃষকরা। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষক আবদুল
কাইয়ুম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক অলিউল্লাহ বর্তমানে
থানা হাজতে আছে।