সুদের
টাকা পরিশোধ করতে না পারায় হারুনুর রশিদ নামের এক কৃষককে নির্যাতন করেছে
দুই নারী সুদ ব্যবসায়ী। এ অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেছেন ওই কৃষক। গত মঙ্গলবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের
মইয়াকান্দা গুচ্চগ্রামে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে
অভিযোগ করে ঘটনার বিবরণ দেন নিহতের স্ত্রী আছিয়া বেগম।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, মইয়াকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে কৃষক হারুনুর
রশিদ (৫০) একই গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার মেয়ে বিউটি আক্তার ও হিরন মিয়ার মেয়ে
নাজমা বেগমের কাছ থেকে সুদে ৭০ হাজার টাকা নেয়। সেই টাকার লভ্যাংশ
প্রতিবছরে ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। কথামতো ওই টাকা দিতে না
পারায় সোমবার রাতে কৃষক হারুনুর রশিদকে নিজ ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে
নেয় বিউটি আক্তার ও নাজমা বেগম। তখন তার পরনের লুঙ্গি ও গেঞ্জি খুলে
নির্যাতন চালায় তারা। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে
নির্যাতনকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। সেই অপমান সইতে না পেরে পরদিন মঙ্গলবার
সকালে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন কৃষক হারুনুর রশিদ। খবর পেয়ে পুলিশ
নিহতের বাড়ির পুকুর পাড়ের একটি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায়
উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ
বিষয়ে কথা বলার জন্য সুদ ব্যবসায়ী বিউটি আক্তার ও নাজমা বেগমের মোবাইল
ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বাড়িতে গিয়ে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।
মুরাদনগর থানার
ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের
কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত
করা হয়েছে। আর সুদ ব্যবসায়ী কর্তৃক নির্যাতনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।