তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম
জিয়াউল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’
পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ও
স্মার্ট জাতি গঠনে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে
বিনোয়োগও বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি
হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মাট শিক্ষা,
স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে
কাজ করবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্মাট বাংলাদেশের রুপ রেখা বাস্তবায়নে
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল রোবোটিক্স ছিল
ব্যয় বহুল এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। এ বিষয়ে যথাযথ শিক্ষাও
ছিল না। কিন্তু আজ এ খাতে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে। সরকারও সহায়তা দিচ্ছে।
আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরী করা ডোন আজ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবহারের মাধ্যমে
সফলতা এসেছে। এটা বলা যায় সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বড় সফলতা। তিনি
গতকাল সোমবার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ মীর আবদুল গফুর ডিগ্রি কলেজ
মিলনায়তনে ‘স্মাট বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ বিষয়ক এক সেমিনারে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রজেক্টরের মাধ্যমে
স্মাট বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিল্পবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিসিসি’র
সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল মান্নান। এ সময় তিনি বলেন, রোবট
মানুষের ন্যায় সকল কাজ করবে, রোগীদের অপারেশনে সহায়তা করবে। গাড়ি চালাবে।
এসব ধারনা আগে আমরা কেউ করেনি। কিন্তু বিশ^ অনেক আগেই এসব বিষয়ে এগিয়ে
গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে কেন ? বাংলাদেশও আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বেড়েছে রোবটের ব্যবহার। সরকার স্মাট বাংলাদেশ গঠনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি
আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি শিক্ষকদের নানা দিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার
(ওয়ারপো) মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার
সুলতানা। আরও বক্তব্য দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা রোকন উদ্দিন
ভূইয়া ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শামীম। অনুষ্ঠানের
উপস্থাপনা করেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম
সরকার।