স্মার্ট
কুমিল্লা হবে পেপারলেস্ বা কাগজবিহীন। অর্থাৎ স্মার্ট কুমিল্লা সিটি ও
জেলার অধিবাসীদের সকল তথ্য ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন কিংবা স্মার্ট কার্ড
ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ করার উদ্যোগ স্মার্ট কুমিল্লা
গড়তে পাইলট প্রকল্প হতে পারে। এছাড়া ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কথা
বিবেচনায় রেখে কুমিল্লা জেলায় পানির উৎস ও ব্যবহার কিংবা ওয়াটার রিসোর্স
সিস্টেমকে স্মার্ট ব্যবস্থাপনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা
নেয়া যেতে পারে। শিক্ষাখাতে বিভিন্ন স্মার্ট পাইলটিং প্রকল্প বাস্তবায়ন
কুমিল্লাকে আবারো সারাদেশে পথিকৃত হিসেবে তুলে ধরতে পারে।
রোববার (৪
ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্মার্ট কুমিল্লা বিনির্মাণে ভবিষ্যতে জেলা প্রশাসন
যেসব ভূমিকা পালন করতে পারে সেসব উদ্যোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন
অংশগ্রহণকারীরা। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের
সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক
ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আবদুল
মান্নান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে আরো অংশ নেন পানি সম্পদ
পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পুলিশ সুপার আবদুল
মান্নান । সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর
রহমান। সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, সকল উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ
করেন।
প্রধান অতিথি তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম
জিয়াউল আলম বলেন, কুমিল্লা পথিকৃৎ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কুমিল্লা
থেকেই স্মার্ট মাস্টার প্ল্যান আসতে পারে। এবং কুমিল্লাকে স্মার্ট হিসেবে
গড়তে সেই মাস্টারপ্ল্যান সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তা অন্য জেলার জন্যও
অনুকরণীয় হবে।
সেমিনারে দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক ও প্রেস
ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়- স্মার্ট কুমিল্লা গড়তে
পাইলট প্রকল্প হিসেবে অঞ্চলভিত্তিক পেপারলেস্ ডকুমেন্টেশন বা স্মার্ট
কার্ডের ব্যবহার শুরু করার পরামর্শ দেন। পরে সেমিনারের অতিথিগণ এই বিষয়ে
কাজ করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দেন।
পুলিশ সুপার আবদুল
মান্নান বলেন, কারিগরি শিক্ষা বা ট্যাকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে
স্মার্ট কুমিল্লার প্রজন্মকে সমানতালে এগিয়ে নেয়া যেতে পারে।
বিশেষ
অতিথি পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী
বলেন, কুমিল্লা জেলা একটি অগ্রগামী জেলা। আমরা দেখেছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিস্থাপন ও ব্যবহারে কুমিল্লা খুব এগিয়েছিলো।
তিনি ওয়াটার রিসোর্স বা পানির উৎসকে স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য সকল
কর্মকর্তার কাছে মতামত চান এবং কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক স্মার্ট কুমিল্লা গড়তে যেসব ক্ষেত্রে অগ্রগামী কাজ
করার পরামর্শ দেন সেগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট
ইকোনমি, স্মার্ট গভমেন্ট, স্মার্ট গ্রীড, স্মার্ট বর্ডার, স্মার্ট ট্যাক্স,
স্মার্ট সোশ্যাল সেফটিনেট, স্মার্ট এডুকেশন, স্মার্ট সিটি ডিজিটাল জব
প্ল্যাটফর্ম স্মার্ট ল এন্ড অর্ডার।
সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সেমিনারের সভাপতি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান।