দেবিদ্বারে চাঞ্চল্যকর মুছা আলী হত্যাকাণ্ড : র্যাবের অভিযানে দুই আসামী গ্রেফতার
শাহীন আলম
|
![]() এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় বাগুর এলাকার ইউপি সদস্য মো. মফিজুর রহমানের ছেলে মো. সোহেলকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামী করে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রধান আসামী সোহেল এখনও পলাতক রয়েছেন। র্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তির সূত্রে ও মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাগুর এলাকায় মুক্তিপণের ১০লক্ষ টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী মো. মুছা আলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মো. মুছা আলী টেকনাফ উপজেলার উত্তর নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মাজেদ আলীর ছেলে। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে কাপড় ও জুতা বিক্রি করতেন। ঘটনার একদিন আগে তিনি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। নিহতের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগুর এলাকার সোহেল আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, আমি ৫০ হ্জাার টাকা দেব বলে রাজি হই পরে আমি বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা পাঠাই। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পূর্বে ফোনে আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি সোহেল ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাও তিনি আমাকে বাঁচাতে পারবেন’। এরপর ফোন আমার সাথে তাকে আর কথা বলতে দেয়নি। আমি বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, আলোচিত ব্যবসায়ী মো. মুছা আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা র্যাব-১১। অভিযুক্ত দুই আসামীকে শনিবার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে, তাঁরা বর্তমানে থানা হাজতে রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আর কারা জড়িত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
|