টেস্ট সিরিজের
পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাও দাপুটে জয় দিয়ে শুরু
করেছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও শামার জোসেফের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উইন্ডিজরা
শেষ টেস্টে দারুণভাবে কামব্যাক করেছিল। এবার ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়রা একেবারে
নতুন এক পেসারের তোপে পড়েছে। আগে ব্যাট করে তাদের পুঁজি ছিল ২৩১ রানের।
আগ্রাসী মেজাজে যা ১১.৩ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে
অস্ট্রেলিয়া।
মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের
জয়ের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত পেসার জাভিয়ের বার্টলেট। মাত্র ১৭ রান
খরচায় তার ৪ শিকারেই মূলত শাই তোপের দল বড় লক্ষ্য গড়তে পারেনি। তাদের হয়ে
কেসি কার্টি সর্বোচ্চ ৮৮ এবং রোস্টন চেজ ৫৯ রান করেন। নির্ধারিত ওভার শেষ
হওয়ার ৮ বল আগেই ক্যারিবীয়রা গুটিয়ে যায় ২৩১ রানে।
লক্ষ্য তাড়ায় ঘরের
মাঠে আগ্রাসী খেলাই উপহার দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও তাদের শুরুটা হয়েছে
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে নড়বড়ে দেখানো ট্র্যাভিস হেডের দ্রুত বিদায়ে।
উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১১৯ রান করা এই ওপেনার পরের ম্যাচের দুই
ইনিংসেই ডাক নিয়ে ফেরেন। এবার ওয়ানডের শুরুতেও তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রান
করে। এরপর ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছেন জশ ইংলিশ ও ক্যামেরন গ্রিন মিলে।
দ্বিতীয়
উইকেট জুটিতে এই দুজন অস্ট্রেলিয়াকে ৭৯ রান এনে দেন। যার জন্য তারা
খেলেছেন ৬৪ বল। ইংলিশের বিদায়ে সেই আগ্রাসী ঘোর কাটে অজিদের। গুদাকেশ মোতির
বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার করেন ৬৫ রান। মাত্র ৪৩ বলের ইনিংসে
১০টি চার ও একটি ছয়ের বাউন্ডারি খেলেছেন। এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ্য পায়নি
ক্যারিবীয়রা। প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অজিদের নেতৃত্বভার উঠেছে স্টিভ
স্মিথের কাঁধে।
অজি এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার গ্রিনের সঙ্গে অপরাজিত জুটিতে
বাকি কাজ সামলেছেন। শেষ পর্যন্ত গ্রিন ১০৪ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন
অপরাজিত ৭৭ রান। এছাড়া স্মিথ সমান বল খেলে ৮টি চারের বাউন্ডারিতে ৭৯ রান
করেন। ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে স্বাগতিকরা ৩৮.৩
ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
ক্যারিবীয়দের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড ও মোতি।
এর
আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল সফরকারীরা।
পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান তুলতেই তারা ৩ উইকেট হারায়। টপ অর্ডারদের যাওয়া-আসার
মিছিলের মাঝে কেবল বিরুদ্ধ জুটি বাধেন কার্টি ও চেজ মিলে। পঞ্চম উইকেট
জুটিতে তারা ১১০ রান যোগ করেন। কার্টির ৮৮ এবং চেজের ৫৯ রান ছাড়া আর কেউ
বলার মতো রান পাননি। অজিদের হয়ে অভিষিক্ত বার্টলেট ছাড়া ২টি করে উইকেট
নিয়েছেন গ্রিন ও শন অ্যাবট। অ্যাডাম জাম্পার শিকার একটি।