![ভোটাররা চেনেন না তবুও তাঁরা প্রার্থী]( https://comillarkagoj.com:443/2023/12/07/CK_1701886125.jpg)
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের অধিকাংশেরই স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিতি নেই। হঠাৎ করে তাঁরা কেন নির্বাচনে আগ্রহী হলেন এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে সঠিক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
দেবিদ্বারের আসনে এবার ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১% সমর্থন সূচক তালিকায় গড়মিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করায় প্রবাসী চিকিৎসক ডা.ফেরদৌস খন্দকারের মনোনয়ন বাতিল করে বাকি ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে জেলা রির্টানিং অফিসার। তবে এ ১৩ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন ছাড়া বাকি ১১ জনের রাজনীতিতে তেমন পরিচিতি নেই, তাদের চেনেন না ভোটাররাও। তবে এ আসনে বর্তমান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আবুল কালাম আজাদের মধ্যে দ্বিমুখি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ পরিচিত। বাকি ১১ প্রার্থী কখনোই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন না। তারা ঢাকায় বিভিন্ন চাকরী ও ব্যবসায় জড়িত। তাঁরা হলেন, জাতীয় পার্টির (একাংশ) মনোনীত মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র শাহেরা বেগম, তৃণমূল বিএনপির মো. মাহবুুবুল আলম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর মো. আজহারুল করিম মুন্সি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মোহাম্মদ শফিউল বাদশা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো.ইকরাম হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) শিমুল হোসেন, ইসলামিক ঐক্যজোটের (আই.ও জে) রফিকুল্লাহ সাদী, গণফ্রন্টের (জিএফ) মো. আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. নাছির আল মামুন এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাদিয়া সাবা। তাঁরা সবাই এবারই প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ।
স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ১১জন দেবিদ্বারে নতুন। তাদেরকে তেমন কেউ চেনেন না। তাদের অনেকেই আগে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি নামও শোনা যায়নি। তাঁদের নেতা কর্মীদেরর কখনই চোখে পড়েনি।
ইসলামিক ঐক্যজোটের প্রার্থী (আই.ও জে) রফিকুল্লাহ সাদী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশ নেওয়ার মাধ্যমে হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসলাম। আলেম ওলামাদের রাজনীতিতে আসা দরকার। এ পৌরসভায় আমি ছাড়া আর কোন প্রার্থী নেই। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিবে।
জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বর্তমানে আমি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ দলে জড়িত। এ জন্য দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আমি বিজয়ী হবো।
তবে দেবিদ্বারের রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হয়নি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ইচ্ছে করলে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন, এতে আওয়ামীলীগের কোন বাধা থাকবে না। দেবিদ্বারের মানুষ পরিবর্তন চায়। ইতোমধ্যে ভোটারদের মনে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোটার আছে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫২৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ৯৪ হাজার ২৭৬ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজার ২৫০জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১৪ টি।