মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে কুমিল্লার এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
সাইফুলের বাড়িতে শোকের মাতম
শাহীন আলম, দেবিদ্বার
|
মালয়েশিয়ায়
ভবন ধ্বসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তাদের একজন কুমিল্লার
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৪)।
তার বাবার নাম রোশন ভান্ডারী। পাঁচ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান
সাইফুল। সেখানে পেনাং রাজ্যে একটি নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের কাজ করতেন
তিনি। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে সাইফুলসহ
তিন শ্রমিক মারা যান। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকাবহ চিত্র। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে বাড়ি। আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে অঝোরে বিলাপ করছেন মা, বাবা ও স্বজনরা। এক পাশে বসে অঝোরে কাঁদছে সাইফুলের বাবা। কাঁদতে কাঁদতে তার মা বলছেন, আমার সোনার মানিক আমাদের সুখের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসে শ্রমিকের কাজ করছে, আমাদের কখনো তার কষ্ট বুঝতে দেয় নাই। আমার মানিকের মুখটা শেষবারের মত দেখতে চাই, তার লাশ আনার ব্যবস্থা করে দেন। সাইফুলের বাবা রোশন ভান্ডারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত দীর্ঘদিন। মারা যাওয়ার দিনও সে আমার থেরাপির জন্য ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। পরদিন আরও ১০ হাজার টাকা পাঠাবে বলছিলো। এবার দেশে আসলেই বিয়ে করার কথা ছিল। আমার মানিক আমার আগেই চলে গেল। এ বিষয়ে ফতেহাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, সাইফুলের সহকর্মীরা তার মরদেহ দেশে পাঠাবার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছি। মরদেহ আনার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, মালয়েশিয়ায় ভবন ধ্বসে সাইফুলের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে পরিবার যদি সহায়হাত চায় তাহলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। |