প্রকাশ: রোববার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:২৪ পিএম |
নেত্রকোনার মদনে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর দেওয়া আগুনে মারা গেলেন প্রবাসী স্বামী এখলাছ উদ্দিন (৪৫)। রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।
এর আগে গত সোমবার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামে এখলাছের শ্বশুরবাড়িতে এ অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে এখলাছ উদ্দিন ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তারকে। বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার আয়-রোজগারের টাকা স্ত্রীকেই পাঠাতেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীর কাছে টাকাপয়সার হিসাব চাইলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
গত ১১ নভেম্বর রাতে স্ত্রী মুক্তা আক্তার ফোন করে শ্বশুরবাড়িতে ডাকেন স্বামী এখলাছকে। রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্ত্রী। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এখলাছকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এখলাছের স্ত্রী মুক্তা আক্তার, শ্বশুর ও শাশুড়িকে।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন রোববার ভোরে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পূর্বে দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।