কুমিল্লায় জুয়া ও মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে পিটিয়ে আহত
শাহীন আলম
|
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বসত ঘরের পাশে পুকুর পাড়ে জুয়া ও মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় আব্দুল জলিল নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক কারবারিরা। আহত আব্দুল জলিল গাংচর এলাকার মৃত মো. চান মিয়া চৌধুরীর ছেলে। গত শুক্রবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর এলাকার আব্দুর রজ্জাকের বাড়ি সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত জলিলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি । বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বাদি হয়ে শনিবার সকালে স্থানীয় মাদককারবারী জয়নাল আবেদীন ওরফে জনা, সিরাজুল ইসলাম, এনামুলের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খাদিজা আাক্তার জানায়, এক আত্মীয় বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছিলাম। আসামীরা আমাদের রাস্তায় একা পেয়ে আমার স্বামীর হাত পা বেঁধে ফেলে। আমি চিৎকার চেচামেচি করলেও তাদেও হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় কেউ ভয়ে এগিয়ে আসেননি। তারা আমার ব্যাগ থেকে আত্মীয়ের বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য একটি স্বর্ণের হার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাঁরা এলোপাতারি আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে যায়। আহত আব্দুল জলিল জানান, গত কয়েক মাস আগে আসামীরা আমার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসে জুয়া ও মাদক সেবন করছিল, আমি পরেবাধ্য হয়ে তাদের বাধা দেই। বাঁধা দিলে তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। তখন তারা আমাকে দেখে নিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার আসামীরা আমাকে রাস্তায় ফেলে হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে মারধোর করে। এসময় আমার স্ত্রী আমাকে বাচাতে এলে তারা আমার স্ত্রীকেও লাঞ্চিত কওে তার হাতে থাকা পার্টস থেকে নগদ টাকা ও দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি আংটিসহ প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিয়ের মালামাল নিয়া যায়। শনিবার বিকালে চাটুলি বাজারে সরেজমিনে গেলে জলিল চৌধুরীর ওপর হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভে এলাকাবাসী বলেন, স্থানীয় মাদককারবারী জয়নাল আবেদীন ওরফে জনা, সিরাজুল ইসলাম, এনামুল পার্শবর্তী মুরাদনগর উপজেলার গাংরা গ্রামের বাসিন্দা। তারা এ এলাকায় এসে প্রায় সময় আমাদের মারধোর করে। এ নিয়ে কয়েকবার বিচার শালিষ হয়েছে। তারা গাংচর এলাকায় এসে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর বসায়। আমরা বাধা দিলেও তারা শুনে না। জলিল চৌধুরী জুয়া খেলা ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের মোবাইল ফোনে কল করনে নম্বর বন্ধ পাওয় যায়। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নয়ন মিয়া বলেন, আহত জলিল চৌধুরী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইসগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|