
ঘূর্নিঝড়
মিধিলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের। শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি
ক্ষতিগ্রস্থ এবং গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে জেলার
অধিকাংশ জায়গায়। শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত
তথ্য মতে জেলার অন্তত ৭টি উপজেলা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। প্রত্যন্ত
এলাকার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিলো দীর্ঘ সময়। পল্লী
বিদ্যুতের উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুতের কি
পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা শনিবার সকাল ছাড়া নিরুপণ সম্ভব নয়।
শুক্রবার
রাতের মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় সংযোগ স্থাপন সম্ভব হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ
শতভাগ মেরামত করতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগের
পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা
চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায়
চান্দিনা, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলা বিদ্যুৎহীন রয়েছে। দেবপুর
থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ যুক্ত হওয়া জাতীয় গ্রীডের ৩৩ কেভির সংযোগ
ঘূর্নিঝড়ে গাছ পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া এই সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন
এলাকায় ঝড়ে গাছ পড়ে তার বিচ্ছিন্ন হয়েছে- যা মেরামতে অর্ধশত কর্মী কাজ
করছে। সমিতির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযোগ তারটি
গাছ পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেটি দ্রুত মেরামতে কাজ চলছে।
কুমিল্লা
পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর এজিএম মাহমুদুল হক জানান, এই সমিতির অধীনে সদর
উপজেলার আংশিক, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, লালমাই, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলা। রাত ৮ টা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই এলাকায় অন্তত ৪০টি
বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়েও
সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুত সমিতি-৩ এর আওতাধীন
কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, হোমনা ও মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাও
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাত ১০ টায় দাউদকান্দি এলাকার বিদ্যুৎ
সংযোগ কিছুটা সচল হলেও- মেঘনা, হোমনা ও তিতাস উপজেলার অধিকাংশ এলাকা
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর এজিএিম বুলবুল আহমেদ
জানান, ৩৩ কেভি সংযোগ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই সমিতির আওতাধীন সংযোগ
বিিিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত এই সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছি।
ঘূর্নিঝড়
মিধিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৮ এর আওতাধীন
নাঙ্গলকোট, লাকসাম এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা। শুক্রবার রাত ১০ টা পর্যন্ত এই
উপজেলাগুলো সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বলে জানা গেছে। সমিতির সিনিয়র
জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ছাদেক জামান জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে এই
সমিতির আওতাধীন অন্তত ৪১টি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা
সব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।