ঘূর্ণিঝড়
মিধিলির প্রভাবে গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
করা হয়েছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয় ঘন্টায় ৫৪ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়লেও এর প্রভাবে
বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি শনিবার বিকেল নাগাদ উন্নতি হতে
পারে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূইয়া জীবন।
ঘূর্ণিঝড়ের
প্রভাবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই কুমিল্লায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
ভোর থেকে বৃষ্টির প্রভাব আরো বাড়তে থাকে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কুমিল্লায়
বৃষ্টির কারণে জনজীবনে চলাচল অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজে যারা ঘর
থেকে বের হয়েছিলেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে বিপাকে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার
কারণে বিকেলের পর থেকে রাস্তায় যানবাহনের সংকট দেখা গেছে। এর উপর বাড়তি
ভোগান্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা
সাতটা পর্যন্ত কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিলো। সন্ধ্যার পর
থেকে শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর
থেকে বের হননি।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূইয়া
জীবন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও তৎপরবর্তী নি¤œচাপ - গভীর নি¤œচাপ
-ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কুমিল্লা জেলায়
দমকা/ঝড়ো বাতাস-সহ ভারী বর্ষণ চলছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪
ঘণ্টায় কুমিল্লায় ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়
মিধিলি শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপকূল অতিক্রম করে দেশের অভ্যন্তরে গভীর
নি¤œচাপ হিসেবে অবস্থান করে। এটি স্থলভাগে বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে ক্রমান্বয়ে
উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে(কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশ হয়ে) দুর্বল
হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। এটির প্রভাবে রাতভর দমকা/ঝড়ো বাতাস-সহ ভারী
বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবার বিকাল থেকে চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতির
ক্রমান্বয়ে উন্নতি হতে পারে।