ইসলামি পরিভাষায়
ওমরা মানে ইহরাম বেঁধে কাবা তাওয়াফ করা ও সাফা ও মারওয়া সাঈ করা। হজের মতো
ওমরার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। বছরের যে কোনো সময় ওমরা করা যায়। ওমরা
অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সুন্নত ও নফল ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেছেন, একটি ওমরা
পূর্ববর্তী ওমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা আর মাবরুর হজের
প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
রাসুল (সা.) আরও
বলেছেন, তোমরা বারবার হজ ও ওমরা আদায় কর, কেননা এ দুটো দারিদ্র্য ও গুনাহকে
সে ভাবে মুছে ফেলে, যে ভাবে কর্মকারের হাপর লোহার ময়লাকে দূর করে থাকে।
(সুনানে নাসাঈ)
নফল ইবাদত শুরু করার পর পূর্ণ করা ওয়াজিব। নফল ওমরার ইহরাম বেঁধে ফেললেও তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
কেউ
যদি নফল ওমরার ইহরাম বাঁধার পর অসুস্থতা বা অন্য কোনো অসুবিধার কারণে
ওমরায় যেতে না পারে, তাহলে তার করণীয় হলো, হালাল হওয়ার জন্য কারো মাধ্যমে
হারাম এলাকায় একটি দম দেওয়া অর্থাৎ একটি ছাগল বা দুম্বা জবাই করা। হারাম
এলাকায় তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করা হলে সে হালাল হয়ে যাবে। মাথা মু-ন করা
বা চুল কাটা জরুরি নয়; চুল খাটো করা মুস্তাহাব।
তার ওপর ওই ওমরার কাজা আদায় করা ওয়াজিব। পরবর্তীতে যখনই সুযোগ আসবে, ওই ওমরার কাজা আদায় করে নিতে হবে।