।
শক্তি,
সামর্থ্য, স্কিল, ফিফা র্যাঙ্কিং, ঐতিহ্য- সব দিক থেকেই এগিয়ে থাকা
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার ‘স্বাভাবিক’ই ছিল। তবে দলের কাছ থেকে আরেকটু বেশি
লড়াই আশা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
২০২৬
বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার মেলবোর্নের রেক্টাঙ্গুলার
স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে গোল
হজমের পর দিশেহারা হয়ে পড়া দল গড়ে তুলতে পারেনি ন্যুনতম প্রতিরোধও।
ম্যাচ
শেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে এসে চোখে-মুখে হতাশার ছাপ কাবরেরার মুখে স্পষ্টই
দেখা গেল বটে, তবে বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড়
ব্যবধানের হারের পর দলকে ঠিকই আগলে রাখলেন এই স্প্যানিশ কোচ।
“এতগুলো
গোলৃএই পরিস্থিতির পরও আমি মনে করে দলের মানসিকতা ইতিবাচক। আমি মনে করি না,
এই ফল আমাদের প্রভাবিত করবে (সামনের পথচলায়)। আমরা জানতাম, শারীরিক
ব্যবধানৃআসলেই এটা অনেক বেশি হবে; তবে সত্যি বলতে আমি এতটা পার্থক্য আশা
করিনি। আমরা ম্যাচটা আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আশা করেছিলাম।”
“পরিস্থিতির
বিবেচনায় আশা করেছিলাম আমাদের ফরোয়ার্ডররা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ঢুকতে
পারবে, সম্ভবত প্রথমার্ধে এক-দুবার গিয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার
ডিফেন্ডাররা আমাদের জায়গা দেয়নি। অস্ট্রেলিয়া শারীরিকভাবে এগিয়ে ছিল, শান্ত
ছিল; আমি মনে করি, ওরা ম্যাচে পুরোপুরি আধিপত্য করেছে।” বাছাইয়ে ‘আই’
গ্রুপে সামনের পথচলায় মেলবোর্নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে মনে করেন
কাবরেরা।
“খুবই কঠিন ম্যাচ, খুবই কঠিন দিন, বিশেষ করে ছেলেদের জন্য। এমন
কিছু হবে, হয়তো হওয়ার কথাই ছিল, কিন্তু বিশেষ করে প্রথমার্ধৃআমরা আরেকটু
প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলাম। আমরা আমাদের মতো করে খেলতে পারিনি। সবদিক
থেকেই অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। শারীরিক দিক থেকে তারা আমাদের
চেয়ে এগিয়ে ছিল। খেলোয়াড়দের জন্য বেশ কঠিন ছিল।”
“ম্যাচের ফল ভুলে গিয়ে
নিজেদের খেলাটা খেলতে হতো, কিছুটা সময় সম্ভবত আমরা পেরেছি। শারীরিক দিক
থেকে তো বটেই, টেকনিক্যালিও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য অনেক। যাই
হোক, ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের
সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। দারুণ খেলার জন্য অষ্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন।”
কাবরেরা
দল পরের চ্যালেঞ্জে লেবাননের বিপক্ষে মাঠে নামবে আগামী ২১ নভেম্বর। এ
ম্যাচটি জামাল-মিতুলরা খেলবেন নিজেদের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়।