গতকাল (সোমবার)
মেলবোর্নের ইয়ারাভিল গ্লোরি ফুটবল ক্লাব মাঠে অনুশীলন করেছিল বাংলাদেশ। এই
অনুশীলন ভেন্যু সুন্দর ও সুযোগ-সুবিধা ভালো হলেও আয়তন কম। তাই বাংলাদেশ টিম
ম্যানেজমেন্ট মাঠ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই মাঠেই
তারা অনুশীলন করেছে।
মেলবোর্ন থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান
বলেন, ‘মাঠ খানিকটা ছোট হওয়ায় আমরা অনুরোধ করেছিলাম পরিবর্তনের জন্য।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন চেষ্টা করেছে, কিন্তু এর চেয়ে বড় অনুশীলন ভেন্যু
দিতে না পারায় আজও আমরা এখানে করেছি।’ বুধবার ম্যাচের আগেরদিন হওয়ায়
স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ।
আট বছর পর অস্ট্রেলিয়াতে খেলবে
বাংলাদেশ। তাই প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যেও উত্তেজনা কাজ করছে।
ইতোমধ্যে সিডনি ও অ্যাডিলেড থেকেও বাংলাদেশি সমর্থকরা এসে পৌঁছেছেন
মেলবোর্নে। আজ জামালদের অনুশীলন দেখতে ইয়ারাভিল গ্লোরি ফুটবল ক্লাব মাঠে
উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াত তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের মেয়ে গঙ্গোত্রী রায়
বৃষ্টি। তার সঙ্গে এসেছিলেন বেশ ক’জন প্রবাসী দর্শকও। তাদের প্রত্যাশা— ভাল
কিছু করে দেখাতে পারবেন জামালরা।
মেলবোর্ন থেকে এক ভিডিও বার্তায়
গোলকিপার মিতুল মারমা বলেন, ‘আসলে জাতীয় দলের যতগুলো ম্যাচ রয়েছে, সবগুলোই
ফাইটিং। অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দল, শক্তিশালী। তাই প্রস্তুতিতে বড় কিছু থাকতে
হবে। আমরা তাই করছি। নিজেদের সেরাটা দিতে সবাই বদ্ধপরিকর। আমাদের রক্ষণভাগ
অনেক ভাল করছে। চেষ্টা করছি আরও ভাল কিছু করার। অস্ট্রেলিয়া অনেক
শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে ভাল করতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে। সেটা
নিয়েই কাজ করছি। গোলকিপার হিসাবে আমার লক্ষ্য থাকবে, যেন কোনো গোল হজম না
করি।’
ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের কণ্ঠেও একই সুর , ‘ফরোয়ার্ড, মাঝমাঠ,
রক্ষণভাগ ও গোলকিপিং— সব বিভাগকেই ভাল খেলতে হবে। তাহলেই অস্ট্রেলিয়ার মতো
দলের বিপক্ষে ভাল কিছু করতে পারব। প্রত্যেককে নিজেদের অবস্থান থেকে শতভাগ
দিতে হবে। এখন আমরা ব্লক নিয়ে কাজ করছি। আমরা এক সাইড দিয়ে খেলে টেক্কা
দিতে চাই। দলীয়ভাবে সবাই ভাল খেললে আশাকরি ভালো ফল হবে।’