সদ্য
অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটে
অনিয়ম হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ফলাফলের গেজেট প্রজ্ঞাপন আকারে
জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুরে
অনিয়মে সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও
লক্ষ্মীপুরের তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচন
কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার
(১৩ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে এ
সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। গত ৫ নভেম্বর এ দুটি
সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান,
লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছিল, যা
গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সেসব তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট
রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন পেয়েছে।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ খাগরিয়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভোটকক্ষে জালভোটের কিছু ছবি
গণমাধ্যমে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই একটি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়ম
পরিলক্ষিত হয়েছে।
জাহাংগীর আলম জানান, ভোটে অনিয়মে জড়িত দুজনকে শনাক্ত
করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরপিও অনুযায়ী মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া ওই দুই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ও সহকারী পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন,
১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান,
লক্ষ্মীপুরের ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রিটার্নিং
অফিসার ওই কেন্দ্রের ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন
গেজেট প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে। কারণ, ওই কেন্দ্রের ভোটে দুই
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়ায় ফলাফল বিবরণী পেলেই
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গেজেট করবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের
উপনির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়ম পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
কেন্দ্র দুটি হলো- যাত্রাপুর নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও শরিপপুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ভোটকেন্দ্রের
দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডং ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১-এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই দুই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে সংশোধিত ফলাফল পেয়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন করবে ইসি।