বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এতো
ক্ষমতা, সাহস আর আত্মম্ভরিতা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তিনি
আঁতকে ওঠেন। যদি সাহস থাকে হুংকার বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ,
সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ভোটাররাই ফয়সালা করবে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দলের ডাকা চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিনে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী
বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেরাই ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা-ভাঙচুর, সহিংসতা করে পুরোনো
কায়দায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে।
দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে
বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।’
সরকারের মতো পুলিশও গায়েবি তথ্য উৎপাদনের
কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতা হারানোর
ভয়ে আবারও উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে
থাকার শেষ চেষ্টা করছে। আইন-আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই শেখ হাসিনার
হুকুমের দাসে পরিণত হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায়
সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৪৮০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১৬টি। এতে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি
নেতাকর্মীকে। ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২৮
অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের চার-পাঁচ দিন আগ থেকে
এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১২৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা হয়েছে ২৪৯টির বেশি। ৩ হাজার ৯৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন। একজন
সাংবাদিকসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।’