যশোরে জোড়া হত্যা মামলায় দু’জনের ফাঁসি দু’জনের যাবজ্জীবন
|
![]() বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- টেঙ্গুরপুর গ্রামের আবজেল খানের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিপুল ও মুকুল খান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- তাদের অপর ভাই বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রুপালী বেগম। রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক চার আসামির মধ্যে মুকুল খান ও বিপ্লব ওরফে বিপুলকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে অপর দুই আসামি বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রুপালী বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর সর্দার ব্রিকসের বিপরীতে মুকুল হোসেনের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ইউনুস খান। কাজের লোক ঠিক করা নিয়ে প্রথমে ইউনুস খানের সঙ্গে দোকানি মুকুলের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইউনুসকে মারধর করেন মুকুল, বিল্লাল, বিপুল ও রুপালি বেগম। পরবর্তীতে ইউনুসের ভাই আইয়ুব খাঁ ও ভাতিজা আসাদুজ্জামান খানসহ মুকুলের দোকানে যান এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। এ সময় মুকুল তার ভাই বিপুল, বিল্লাল ও রুপালি বেগম মিলে ইউনুস খান, আইয়ুব খান এবং আসাদুজ্জামান খানকে দা ও বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইউনুছ আলী খান ও আইয়ুব আলী খানকে মৃত ঘোষণা করেন। আসাদুজ্জামান খানের মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হলে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত দু’জনের ফাঁসি এবং দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এদিকে রায় শুনে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডিতদের স্বজনরা। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল খানের স্ত্রী জলি বেগম বলেন, মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না। আমরা ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাবো।
|