প্রকাশ: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:০৬ এএম |
মাছ বা মাংসের যে দাম, তাতে এগুলো গরিব মানুষের
নাগালের বাইরে। এত দিন তাদের কাছে আমিষের বড় উৎস ছিল ডিম। এখন সেই ডিমও
তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার নানা
উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে।
প্রায়ই ডিমের ডজন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় উঠে
যায়। সরকার ডিম আমদানির উদ্যোগ নিলে ব্যবসায়ীরা হাহাকার শুরু করেন। দরিদ্র
ডিম ব্যবসায়ীদের দোহাই দিয়ে বলেন, তারা মরে যাবে। তখন ডিমের দাম কিছুটা
কমে।
কয়েক দিন পরই ডিমের দাম আবার আকাশমুখী হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে
একটি ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়,
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি) কারসাজির মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানোর
অভিযোগে ডিম বাজারজাতকারী পোলট্রি ফার্ম, সংশ্লিষ্ট সমিতিসহ ১০
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযোগের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব
দিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের কিংবা আরো কঠোর পদক্ষেপই প্রয়োজন।
গণমাধ্যমে
আসা আলোচনায় একটি প্রশ্ন প্রায়ই উত্থাপিত হয়, আর তা হলো : ভারত থেকে
৪০০-৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এবং বিপুল পরিবহন খরচ দিয়ে আনার পরও যদি ঢাকার
বাজারে কম দামে সেই ডিম বিক্রি করা যায়, তাহলে আমাদের ডিম উৎপাদনকারী
প্রতিষ্ঠানগুলো তা পারে না কেন? জানা যায়, ভারতে মানভেদে ও অঞ্চলভেদে ডিমের
দাম ডজনপ্রতি ৪২ থেকে ৬৬ রুপি পর্যন্ত রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৫৫
থেকে ৮০ টাকার মতো। ডিমের উৎপাদন পদ্ধতি তো একই। তাহলে আমাদের এখানে ১৬০
টাকা কেন? ভালো মানের ডিমের দাম আরো বেশি।
প্রকাশিত আরেক খবরে দেখা যায়,
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ফার্মের ডিমের দাম হবে ১২ টাকা অর্থাৎ
প্রতি ডজন ১৪৪ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ
৬৪-৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন ডিমের এই দামও বেশি।
তাঁদের মতে, ক্রেতাদের স্বার্থে ডিমের আমদানি অবাধ করে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।
আমরা
মনে করি, বাজার প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে
রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।