কুমিল্লার
মনোহরগঞ্জ উপজেলার জলিপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন,
যিনি দৈনিক মুক্তখবর মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ও মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে গত ২৫ জুলাই, ২০১৯ইং তারিখে ১৭
লক্ষ টাকা ৬ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে ধার নেয় একই উপজেলার তালতলা
গ্রামের মৃত বাহারুল ইসলামের ছেলে ও মান্দারগাঁও বাজারের ফাতেমা স্টোরের
মালিক আলী হায়দার।
কিন্তু যথাসময়ে উক্ত টাকা ফেরত না দিয়ে মামলা-হামলা
করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে সংবাদকর্মী আলমগীরকে। নিরুপায় হয়ে টাকা ফেরত
পাওয়ার জন্য আলমগীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-রাজনৈতিক ও সালিশদারগণের
দারস্থ হলে তাদের চাপে একপর্যায়ে প্রতারক আলী হায়দার গত ৪ মার্চ, ২০২১ইং
তারিখে এশিয়া ব্যাংক লিঃ, মনোহরগঞ্জ মান্দারগাঁও শাখার হিসাব নং
১০৮৩৪১৯০৩৩২১০ এর অনুকূলে ১৭ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে। যার নং ঝই-অঈ
০৩৫৩৯৬৫। পরে ২৫ মার্চ ২০২১ইং তারিখে উক্ত চেকটি ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ
লাকসাম শাখা নিয়ে গেলে উল্লেখিত হিসাব নং পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি
ডিজঅনার হয়। চেকটি ডিজঅনার হওয়ার পর গত ০৪-০৪-২০২১ইং তারিখে সাংবাদিক
আলমগীর উকিলের মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় আলী হায়দারকে এবং গত
১১-০৪-২০২১ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্ত হওয়ার পরও বাদীর প্রদত্ত টাকা
পরিশোধ করেনি, এমনকি লিগ্যাল নোটিশেরও কোন জবাব দেননি প্রতারক আলী হায়দার।
বিবাদীর একাউন্টে পর্যন্ত পরিমাণ টাকা নেই মর্মে বিবাদী জেনেশুনে, বুঝে
বাদীকে উক্ত চেকখানা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ১২-০৫-২০২১ইং তারিখে সাংবাদিক
আলমগীর বাদী হয়ে কুমিল্লা কোর্টে প্রতারক আলী হায়দারকে বিবাদী করে একটি
মামলা দায়ের করেন। যার নং সিআর-১৩৬/২১। দীর্ঘ শুনানির পর গত ১০-০৯-২০২৩ইং
তারিখে এসটি-১০০৩/২১ইং ২য় যুগ্ম দায়রা জজ আদালত, কুমিল্লা দায়েরকৃত
মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিবাদীকে ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য
নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং ১ বছর কারাভোগের দন্ডাদেশ দেয়। এ রায়ে সন্তুষ্টি
প্রকাশ ও আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় আলমগীর হোসেন। এ বিষয়ে আলী
হায়দারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।