বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪
৭ কার্তিক ১৪৩১
বাণিজ্যে বসতে লক্ষèী ঃ শান্তিরঞ্জন ভৌমিক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:১২ এএম |

  বাণিজ্যে বসতে লক্ষèী ঃ শান্তিরঞ্জন ভৌমিক
‘ব্যবসা বাণিজ্য’ এই শব্দ দু’টির সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। যারা এ দুটি শব্দের সঙ্গে হরিহর আত্মার মতো একাকার হয়ে আছেন, তাদের কাছে ‘জীবন-মৃত্যু’র মতো সম্পর্ক। আমরা অর্থাৎ যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নই, কিন্তু তার সুফল-কুফলের উষ্ণতায় সবসময়ই বিগলিত হই। অনেকেই মনে করি ব্যবসা ও বাণিজ্য শব্দ দুটির অর্থ সমান বা একই। সাধারণভাবে তাই মনে হতে পারে। কিন্তু শব্দ দু’টি যেহেতু পৃথক, তাদের অর্থ- গৌরবও পৃথক, ভাব-বিন্যাসও স্বতন্ত্র।
    অভিধানে ‘বাণিজ্য’ শব্দটির অর্থ দেয়া আছে-
১. ব্যবসা; পণ্যদ্রব্যাদি ক্রয়বিক্রয়, ২. বিদেশের সঙ্গে কারবার, সওদাগরি।
অন্যদিকে ব্যবসা শব্দের অর্থ হলো
১. জীবিকা, বৃত্তি, পেশা।
২. তেজারতি, কারবার, বাণিজ্য।
৩. যতœ, উদ্যম, চেষ্টা।
৪. অভিপ্রায়, ইচ্ছা, উদ্দেশ্য।
৫. অনুসন্ধান,
৬. ব্যবহার, আচরণ।
‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ শব্দ দু’টির মধ্যে কোথাও মিল আছে, কোথাও আবার অমিলও আছে। সাধারণত, ব্যবসা বলতে তেজারতিই বুঝায়। তা একশ্রেণি লোকের জীবিকা নির্বাহের পন্থা, কারো বা বৃত্তি অথবা পেশা। কিন্তু বাণিজ্য শব্দটি যেন ভিন্ন মাত্রায় ইদানিং গৌরবোজ্জ্বল, সে প্রসঙ্গ নিয়ে দুটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কারণ, ব্যবসা করতে হলে মূলধনের প্রয়োজন, সঙ্গে মেধা ও কায়িক পরিশ্রম সহায়ক অনুষঙ্গ। কিন্তু বাণিজ্য করতে হলে মূলধন বা পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না, শুধু মেধা ও কৌশল, সুবিধাজনক অবস্থান এবং ক্ষমতা বা নেতৃত্বই শেষ কথা।
আমরা ইদানিং ‘বাণিজ্য’ শব্দের বহুল উচ্চারণ এবং প্রয়োগ-কৌশল অবলোকন করছি। যেমন ভর্তি-বাণিজ্য। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে মেধা বহির্ভূত সুযোগ নিতে হলে এই বাণিজ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। একশ্রেণির লোক, তারা আমাদের পরিচিত, স্বল্পপরিচিত বা মাধ্যমপরিচিত ব্যক্তি বিনা পুঁজিতে এ বাণিজ্য করে থাকে, আমরা তাদের মাধ্যমে অর্থ-বিনিময়ে সুবিধা নিতে চাই, নিয়েও থাকি। ব্যাপক না হলেও সীমিত গ-িতে আগে আসলে আগে পাবেন এবং উচ্চ মূল্যে সুবিধাটি ক্রয় করার কখনও কখনও সুযোগ মিলে। ক্রয়কারীর লাভ-ক্ষতির হিসাব এখানে অবান্তর।
    চাকরি বাণিজ্যঃ এটি এখন প্রকাশ্য ও স্বীকৃত বাণিজ্য। এখানে কোনো রাখ-ঢাক নেই। চাকরি পেতে হলে এ বাণিজ্যের যূপকাষ্ঠে নিজেকে গলা বাড়িয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবেই, এটা এখন নিয়মের সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এখানে যারা বাণিজ্য করেন, তারা ক্ষমতাধর মান্যব্যক্তি। তারা সবকিছুর ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দিতে পারলে ধন্য, নিতে পারলে তৃপ্তি। আমার গ্রামের স্বপন দে এসেছে, তার মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে। এখন মৌখিক পরীক্ষা, পরীক্ষার নম্বর- ২০, যদি এ পরীক্ষার উল্লেখযোগ্য নাম্বার পেয়ে যায়, তাহলে চাকরিটা হয়ে যেতে পারে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি ভাইবা কমিটি এ পরীক্ষা নিবে। প্রতি উপজেলার সংসদ সদস্যরা একটি তালিকা নাকি ভাইবা বোর্ডে পাঠায় এবং এ তালিকা থেকেই উচ্চ নাম্বার দিয়ে পাশ করার ব্যবস্থা হয়। আমি এটা বিশ্বাস করি না। কারণ, ভাইবা বোর্ডে যারা আছেন, আমি তাঁদের চিনি, জানি। কিন্তু সংসদ সদস্যগণ তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিনিধির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে। আমার উপজেলার সংসদ সদস্যের স্ত্রী এ বিষয়টি দেখভাল করেন। স্বপন দে এত টাকা দিতে অসমর্থ, তাই আমার কাছে আসা। এই যে চাকরি পাওয়ার হাতছানি দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া, তা ব্যবসা নয়, বাণিজ্য।
    কুমিল্লা নিমসার বাজার থেকে একশ্রেণি লোক তরকারি ক্রয় করে, রাজগঞ্জ বাজারে আড়তে এনে বিক্রি করে, আড়তদার থেকে মূল ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে ব্যবসা করে। নিমসার বাজার থেকে ফুলকপি ক্রয় করা হলো প্রতিটি ৫টাকা। ক্রয়কারী আড়তে বিক্রি করল ৮টাকা। আড়তদার মূল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করল ১০টাকা। ভোক্তা ক্রয় করতে হলো ১৫থেকে ২০টাকায়। এই যে মধ্যস্বত্ব দুটি ধাপ, তারা বাণিজ্য করল ১০টাকা। সুতরাং সহজেই বুঝা যায়- বাণিজ্য যারা করে তারা ফসল বা দ্রব্য উৎপাদন করে না, ভোগও করে না। কিন্তু বাণিজ্যটা করে টাকা হাতিয়ে নিল। উৎপাদনকারীর শ্রম আছে, পুঁজি আছে, ভোক্তার শ্রমের টাকায় ফসল বা দ্রব্য ক্রয় করল, ভোগ করল এবং মধ্যস্বত্বের বদৌলতে উৎপাদনকারী ন্যায্য মূল্য পেল না, ভোক্তা অতিরিক্ত টাকা দ- দিতে হলো।
    এই বাণিজ্য যারা করে, তারাই অর্থনৈতিক বিশ্বে বিত্তবান, ক্ষমতাবান এবং সমাজের এলিটশ্রেণির নাগরিক, তাদেরই জয় জয়কার। উৎপাদনকারী থাকবে, উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য বাজার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। এখানে যে লেনদেন হয় তা-ই হয়ত বাজার-অর্থনীতি। বাজার-অর্থনীতি চলমান রাখতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকবে, তা নিয়ন্ত্রণ করবে ব্যবসায়ী এবং তদারকি করবে সরকার। ফলে উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা সহনশীল সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সরকারি নজরদারি বা তদারকির ফলে বাজারদর থাকবে নিয়ন্ত্রণাধীন। এতে ভোক্তা সঠিক ও মানসম্পন্ন দ্রব্য প্রাপ্তিতে নিশ্চয়তা পাবে, ক্রয়ের ক্ষেত্রেও লভ্যাংশসহ দ্রব্য ক্রয়ে প্রতারিত হবে না। ফলে বাণিজ্য যারা করতে চাইবে, তারাও অধিক সুবিধা আদায় করতে সুযোগ পাবে না। বলা হয়ে থাকে রাজনীতি যদি রাজনীতির নীতি আদর্শে থাকে, তবে দেশ ও জনগণের কল্যাণ হয়। কিন্তু রাজনীতিতে যখন পলেটিক্স ঢুকে পড়ে তখনই সব এলোমেলো হয়ে যায়। তদ্রƒপ ব্যবসার মধ্যে যদি বাণিজ্য ঢুকে যায়, তখন উৎপাদনকারী ও ভোক্তা প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। বাণিজ্যের পক্ষে যে কোনো যুক্তি নেই, তা কিন্তু নয়। এ বাণিজ্য হলো বৃহত্তরভাবে আমদানী-রপ্তানির প্রক্রিয়ায়। যারা দেশের মধ্যে নয় বিদেশের সাথে বাণিজ্য করতে চান, সেক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাই প্রাধান্য পাবে। স্পষ্টভাষায় বলতে চাই ব্যবসার ক্ষেত্র সর্বজনীন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রটি সীমিত ও বৈশ্বিক। যেমন গাড়ি আমদানি হবে- এটা বাণিজ্য, গার্মেন্টস এর দ্রবাদি রপ্তানি হবে- এটা বাণিজ্য, মধ্যস্বত্ব সরকার বা তার স্বীকৃত প্রতিনিধি।
    টে-ার বাণিজ্যঃ সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৃহৎ কোনো কাজ করতে হলে ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এজন্য টে-ার আহবান করা হয়। টে-ারে থাকে কাজের বর্ণনা, প্রাক্কালিত অর্থের পরিমাণ এবং প্রতিযোগিতা। দেখা যায় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ঠিকাদারগণ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নির্ধারিত কাজটি একজন বা একাধিক ব্যক্তি সুযোগ লাভ করে। সুযোগপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি কাজটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগীদের আনুকূল্য লাভে লভ্যাংশের একটি অংশ অগ্রিম শোধ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যটা সমঝোতায় মিটমাট হয়ে যায়। সরকারি বড় বড় অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার টে-ারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাবান ব্যক্তির অভিভাবকত্বে সমঝোতা করতে হয়। এই ক্ষমতাবান ব্যক্তিটি আকাশের তারার মতো উজ্জ্বেল, ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকেন না, কিন্তু তার ইচ্ছা ও প্রাপ্তির বিষয়টি খাঁটি সোনার মত। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে অঘোষিত ভাগাভাগির বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত ও সর্বজনীন হয়ে গেছে। কাজের মান যা-ই হোক, কাজটি মাঠ পর্যায়ে কে করছেন, ধার্যকৃত অর্থের পরিমাণই বা কত এ নিয়ে এখন জানগণ-মাথা ঘামায় না, উৎসুকও নয়। তারা দেখে সারা বছর উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে, সুফল পাওয়া যাচ্ছে, এ সুফলের মান কতটুকু টেকসই তা জনগণের বিচার্য বিষয় নয়। কাজেই একটি বালিশের মূল্য ছয় হাজার টাকা, ডিআইজি মিজানের কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ, সোনাগাজি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কোটির টাকার প্রতিষ্ঠানও ভোগবিলাসের জন্য কোমলমতি ছাত্রী। বৈরি হলেই পুড়িয়ে মারার উদ্যোগ। এই দুর্বৃত্তায়নের সহযোগীর সংখ্যা কিন্তু কম নয়, এই যে পরিক্রমা, তা অবশ্যই একধরনের বাণিজ্যের সহজীকরণের অঘোষিত গোপন-দলিল। কাজেই ব্যবসা আছে চিরন্তন অবস্থানে, বাণিজ্য-প্রক্রিয়া বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মতো নতুন নতুন কৌশল নির্মাণে মহিমান্বিত। সামগ্রিকভাবে বাণিজ্যের কাছে আমরা প্রতিনিয়ত ধরাশায়ী।
আছে নির্বাচন বাণিজ্য, এ বাণিজ্য-আধুনিক ও আভিজাত্যপূর্ণ। এ বাণিজ্যের ভিত্তিটা মহিমান্বিত, যে কোনো নির্বাচন আসলে বিশেষত আমাদের দেশে তথাকথিত কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিটি এককভাবে এ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সুবিধা অর্জন করে থাকেন। সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি দলের লোকের কাছে সৃষ্টিকর্তার চেয়েও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শক্তিধর। তিনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, তার বাণিজ্যিক মানদ-টি সেখানেই সিংহাসন পাতা।
দলীয় বাণিজ্য পুরোনো হলেও বর্তমানে তার ভয়াবহরূপ দেখে দেশ আতংকগ্রস্ত। দলীয় বাণিজ্য হলো দলের শীর্ষপদে থেকে, অবশ্যই ক্ষমতাসীন দলের কেউকেটা বিশেষ, এ কাজটি নিরাপদে করার প্রবল সুযোগ লাভে ধন্য হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- যদি এসব আর্থিক দুর্নীতি না হতো দেশ আজ অনেক অ-নে-ক উন্নতির শিখরে পৌঁছে যেত। সুতরাং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশবাসী আশার আলো দেখছে। এ নিয়ে অনেক কথা বলার থাকলেও চলমান বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
       সুতরাং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য-শক্তিই সকল ক্ষমতার হাতিয়ার। এ বাণিজ্যের জন্য যুদ্ধ হয়, অস্ত্র বিক্রি হয়, ক্ষমতা বদল হয়, ক্ষমতা লাভ হয়। জয়তু বাণিজ্য, এজন্যই বলা হয় ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ ঃ
       এজন্য বহু আগেই রবীন্দ্রনাথ বলেগেছেন-
       ‘কোন্ বাণিজ্যে নিবাস তোমার কহো আমায় ধনী,
       তাহা হলে সেই বাণিজ্যের করব মহাজনি।’













সর্বশেষ সংবাদ
নতুন বইয়ের বর্ণিল নতুন বছর
নৌকায় ভোট নিতে ভাতার কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ
শান্তির নোবেলজয়ী থেকে দণ্ডিত আসামি
শ্রমিক ঠকানোর দায়ে নোবেলজয়ী ইউনূসের ৬ মাসের সাজা
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা অধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ডাঃ রুহিনী কুমার দাস এর দায়িত্ব গ্রহণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
বরুড়ায় শ্রমিকদল নেতাকে ছুরিকাঘাত
অর্ধেক দামে ফ্রিজ বিক্রি করছেন ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী
বাড়ির জন্য কেনা জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া একই পরিবারের ৪ জনের কবর
৫৫ কেজি সোনা চুরি, ফের রিমান্ডে দুই রাজস্ব কর্মকর্তা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২