বৃষ্টির
কারণে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের কলম্বোর ম্যাচগুলো অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে
নেওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনার খবর এসেছে আগেই। বৃষ্টির বাগড়ার পর এবার
এশিয়া কাপের ম্যাচ শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে নিতে বলছেন পাকিস্তান ক্রিকেট
বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। এ ব্যাপারে এশিয়ান ক্রিকেট
কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান ও বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহর সঙ্গেও আশরাফের
কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান।
বৃষ্টির
কারণে ভারত ও পাকিস্তানের পাল্লেকেলের ম্যাচটি শেষ হতে পারেনি, এক ইনিংস
খেলা হওয়ার পর পরিত্যক্ত হয় সেটি। আজ নেপালের বিপক্ষে চলমান ভারতের ম্যাচেও
আছে বৃষ্টির শঙ্কা। এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও একবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ
হয়ে গিয়েছিল, যদিও এরপর দ্রুতই শুরু হয় আবার।
সুপার ফোরে লাহোরে প্রথম
ম্যাচটি হওয়ার পর বাকি ম্যাচগুলো হওয়ার কথা কলম্বোতে। ফাইনালও হওয়ার কথা
সেখানেই। তবে সেখানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে সামনের দিনগুলোতে। সে
ম্যাচগুলো অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে শিগগিরই
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে ক্রিকেট পাকিস্তান বলছে, বৃষ্টির
পূর্বাভাসের কারণে সুপার ফোরের ম্যাচগুলো পাকিস্তানে সরিয়ে নিতে বলেছেন
আশরাফ। টেলিফোনে শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সামনের
ম্যাচগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও পর্যালোচনা করতে বলেছেন তিনি।
অবশ্য রাজনৈতিক
দ্বন্দ্বের কারণে পাকিস্তান সফরে ভারত যাবে না বলেই শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক
হিসেবে নেওয়া হয়েছে, এমনিতে এবারের আসরের মূল আয়োজক পাকিস্তানই। সুপার ফোরে
দুই দলই উঠলে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচটি দুবাইয়ে আয়োজন করা যেতে পারে
বলেও প্রস্তাব দিয়েছেন আশরাফ। ক্রিকেট পাকিস্তানের দাবি, আশরাফের
প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন
শাহ।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে আবহাওয়ার কারণে ভেন্যু বদলানোর প্রস্তাব এলেও
বাস্তবতা স্বাভাবিকভাবেই কঠিন। সুপার ফোরের ম্যাচগুলো কলম্বোয় না হলে
বিকল্প ভেন্যু হতে পারে ক্যান্ডি, ডাম্বুলা বা হাম্বানটোটা। তবে
ক্যান্ডিতেই ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি প- হয়ে যায়। সেখানেও আগামী কয়েক দিন
বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।
ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়াম আবার এত স্বল্প
সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা সম্ভব নয় বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা। ফ্লাডলাইট নিয়েও সেখানে কাজ করা
হচ্ছে। তার ওপর সে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে খুব একটা নাকি সন্তুষ্ট নয়
ভারত।
হাম্বানটোটাকে ‘শুষ্ক’ বলে বিবেচনা করা হলেও সেখানকার স্টেডিয়ামের
দূরত্ব জটিলতা তৈরি করতে পারে। এর কাছাকাছি তেমন কোনো থাকার জায়গা নেই।
ফলে সম্প্রচারক ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে বেশ লজিস্টিক ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পরও এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা কাটছে না, যেটি
শুরুর আগে থেকেই অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে
পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় হচ্ছে এশিয়া কাপ।