চলতি
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে নাঙ্গলকোটের ঐতিহ্যবাহী মাহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছে।
বিদ্যালয়ের ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের পাশাপাশি ৩জন
গোল্ডেন জিপিএ-৫সহ ১০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা
বোর্ডে বিদ্যালয়টি ১২তম স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া বিদ্যালয়টি ২০১৮,২০১৯ ও
২০২২ সালেও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। গতকাল
সোমবার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য
এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো ফলাফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
এসময় উপস্থিত
ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি
আলহাজ্ব আবুল কাশেম মজুমদার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রায়কোট উত্তর ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ছেরাজুল হক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য
হাফেজ আমিনুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোঃ ওহিদ উল্ল্যাহ প্রমুখ।
জানা যায়,
বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক ও
শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্ঠা কাজ করেছে। বিদ্যালয়ের দুর্বল শিক্ষার্থী
চিহিৃত করে তাদের জন্য আলাদা পাঠ দান এবং নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের
ভিত্তিতে এস এস সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য
আলাদা পাঠদান, সাপ্তাহিক পরীক্ষা গ্রহণ, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের
মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার তদারকিও ভালো ফলাফলে ভূমিকা পালন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ছিদ্দিকুর রহমান মজুমদার ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
গোল্ডেন
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ফাহিমা বলেন, শিক্ষকদের
সর্ব্বোচ্চ প্রচেষ্টা আমাদের ভালো ফলাফল অর্জনে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া
রামজান মাসেও শিক্ষকদের আলাদা পাঠদান এবং শ্রেণী কক্ষে উপস্থিতির বাহিরেও
যে কোন বিষয়ে শিক্ষকরা পরামর্শ প্রদান করতেন।
গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত
অন্য একজন শিক্ষার্থী তাছনিম তাফান্নুম বলেন, আমাদের ভালো ফলাফল অর্জনে
শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদানের পাশাপাশি সব-সময় উৎসাহিত করাটাও ভূমিকা পালন
করে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মজুমদার বলেন,
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সমন্বয়ের মাধ্যমে
শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের আন্তরিক পাঠদানের কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল
অর্জন করেছে। তিনি এজন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোঃ ওহিদ উল্ল্যাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক পরীক্ষা
গ্রহণ, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং এস এস সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অবাধ স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনে
ভূমিকা পালন করে।