
কুমিল্লায়
স্থানীয়ভাবে কোন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়নি, তবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন তারা সবাই ঢাকা এবং
আশেপাশের জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে
ডেঙ্গুর যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তা ঠেকাতে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এদিকে গত
বছরগুলোর তুলনায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে দ্বিগুণ হারে মশার ঔষধ ছিটানো
হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
কুমিল্লার
ডেপুটি সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন
এলাকায় এন্টোমোলজিক্যাল সার্ভে করা হয়েছে। এতে গতবারের তুলনায় নির্মাণাধীন
ভবন এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকাগুলোতে ডেঙ্গুর লার্ভা বা উপস্থিতি কম শনাক্ত
হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও খোঁজ রাখা হচ্ছে কোথাও কোন রোগী
সনাক্ত হচ্ছে কিনা। সার্ভের রিপোর্ট আগামী দু-একদিনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশনে পাঠিয়ে মশক নিধনের জন্য ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লায় ডেঙ্গু নিয়ে ঝুঁকি থাকলেও এখনো পর্যন্ত
যেহেতু কোনো স্থানীয় সনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি তাই মোটামুটি আর আস্বস্ত থাকা
যাচ্ছে।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ১৭ জন রোগী
ভর্তি ছিলেন। কুমিল্লা মেডিকেলের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান,
তাদের কেউই স্থানীয়ভাবে সনাক্ত হয়নি। ঢাকা কিংবা আশেপাশের জেলা থেকে
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তারা কুমিল্লায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তিনি জানান,
ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মত কুমিল্লাতেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। একটি ডেঙ্গুওয়ার্ড খুলে সেখানে নারী ও
পুরুষের জন্য আলাদা ইউনিট রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সকল
ব্যবস্থা সহজলভ্য করা আছে কুমিল্লা মেডিকেলে।
চিকিচকরা জানিয়েছেন,
বর্তমানে ডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ রয়েছে তা খুবই হালকা, কিন্তু খুবই
ঝুঁকিপূর্ন। যে কারণেই জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা
প্রয়োজন বলে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
ডা. আজিজুর রহমান
সিদ্দিকী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে পেনিক সৃষ্টি না করে জ্বর হলে নিকটস্থ কর
ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। এতে ডাক্তাররাই বলে দিতে পারবেন ডেঙ্গু
পরীক্ষা করা প্রয়োজন আছে কি নাই।
কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত
জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ থেকে বড় পরিসরে কাজ করবে কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশন। গত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ হারে ছিটানো হবে মশার ঔষধ। সিটি
কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলতে
থাকবে।
