বহুবর্ণিল বিচিত্র আয়োজনে ঋদ্ধ: কৃষ্ণপুর দিবস
কাজী মোহাম্মদ আলমগীর
|
![]() দীর্ঘদিন মনে রাখার মত এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের মনিমুন নাহার হেলেন, বিশেষ অতিথি কর্ণফুলি ড্রাইডক লিমিটেডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান মজুমদার (জাহাঙ্গীর)। সভাপতিত্ব করেন ‘কৃষ্ণপুর দিবস’ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ইকরামুর রহমান মজুমদার। বক্তব্য রাখেন জোরকানন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী শাহজালাল, কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হান্নান মজুমদার, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোর্শেদ চৌধুরী, নাহার চৌধুরী, মিসেস আনিসুর রহমান মজুমদার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ, জামাল মেম্বার, মাইনুদ্দিন মজুমদার, ওবায়দুর রহমান মিঠুন, মাহাবুবুর রহমান লিটন প্রমুখ। ![]() প্রধান অতিথি মনিমুন নাহার হেলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশেষ অতিথিকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এমন একটি সুন্দর আয়োজনের আয়োজকদের ধন্যবাদ। গ্রামবাসী এবং সকল আত্মীয় স্বজনকে সালাম ও অভিনন্দন। আমি গ্রামের মেয়ে। সমস্ত গ্রামটিকে আমার মনে হয় একান্নবর্তী পরিবার। আমার দাদা বজলুর রহমান মজুমদার অনেক সম্মনিত ব্যক্তি ছিলেন।’ তিনি বলেন , কৃষ্ণপুর গ্রাম একটি আদর্শ গ্রাম। শিক্ষা দীক্ষায় এই গ্রাম এগিয়ে আছে। নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু লেখা পড়া করলে হবে না। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখতে হবে। সকলের জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। কিভাবে আরও ভালো করা যায় আমাদের ভাবতে হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজক, আর্থিক অনুদানকারী এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগমনকারী সকলকে তিনি অভিনন্দন জানান।![]() তিনি বলেন, এটাই পরিস্কার বিজ্ঞান, জেনেটিক্যাল, আমরা ঐ ধারায় এগিয়ে যাচ্ছি। আনিসুর রহমান তাঁর দাদা বজলুর রহমান সম্পর্কে বলেন, বজলুর রহমান মজুমদার ১৯১৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশান পাস করেন। তখন কুমিল্লা জেলায় মাত্র তিনজন পাস করেছিলেন। আগরতলার মহারাজ তখন এই তিনজনকে সম্বর্ধনা প্রদান করেন। তাঁর দাদা বজলুরমান মজুমদার ১৯২০-২১ সালে সুয়াগাজী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। দাদা তাঁকে পোস্টকার্ডে ছোট ছোট অক্ষরে ইংরেজিতে চিঠি লিখতেন। তিনিও ইংরেজিতে উত্তর দিতেন। তখন তিনি ক্যাডেট কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। চিঠিতে ভুল হলে দাদা তাকে ভুল শুধরে দিতেন। ![]() সদস্য সচিব আব্দুল হান্নান মজুমদার বলেন, আমি ছয়মাস ধরে এই প্রোগ্রামটির চিন্তা করেছি। গ্রামে এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। একমাস পূর্ব থেকে গ্রামে সন্ধ্যা ৮ থেকে রাত ২টা আড়াইটা পর্যন্ত কথা শুনেছি বলেছি, মতামত নিয়েছি। কিভাবে অনুষ্ঠান সফল করা যায় ভেবেছি। আমার একটা বিশাল স্বপ্ন পূরণ হলো। আর্থিকভাবে অনেকে সহযোগিতা করেছেন, নবীণরা অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন, আমি সভার প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃষ্ণপুর দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইকরামুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত অবশেষে অনুষ্ঠান করতে পারছি। আমি আমার বোন হেলেন আপার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আমার ভগ্নিপতি রশিদ ভাই জনাব রশিদ ইঞ্জিনিয়ারকে বলি, তিনি বলেন, তোমার বোনকে নিয়ে যাও। এখানে এসে আমি অনেককে পেলাম, যাদের মুখ গত বিশ পঁচিশ বছর দেখি না। অনুষ্ঠানের জন্য আমার সঙ্গে ৪জন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, চার জনের নিকট আমি কৃতজ্ঞঃ আবদুর রহমান মজুমদার, ওবায়দুর রহমান মিঠু, ফয়েজ উদ্দিন মজুমদার এবং মাঈনুদ্দিন মজুমদার। আমি চেষ্টা করেছি, কতটুকু পেরেছি জানি না। জাহাঙ্গীর ভাই ( ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান মজুমদার) ঘোষণা দিয়েছেন তিনি একটা মাঠ করতে চান। ওনার অনেকদিনের স্বপ্ন । সমস্ত সম্পত্তিটা মাঠের জন্য দান করতে চান। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলে রাজি আছেন। সকলের পক্ষ থেকে ওনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ![]() কৃষ্ণপুরের সৌন্দির্য নিয়ে একজন স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। কৃষ্ণপুরের সন্তান সিনেমা পরিচালক অর্ণব বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক’ , পরিচালক স্যামবেনের সঙ্গে প্রথম দিকে জড়িত ছিলেন। তিনি এখন নিজেই সরকারি অনুদানে ছবি বানাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাস জানা লোকদের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এখন যদি লিখিত আকারে ইতিহাস সংরক্ষণ করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। ![]() অনুষ্ঠানটির প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন ইসতিয়াক আহমেদ রিয়াদ মজুমদার, কানন মজুমদার। কিছু মন্তব্যঃ অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ বলেন ১.যতক্ষণ আছি মনে হয় রমনার বটমুলে আছি। ২. জিলেপি নির্মাতা বলেন, প্রায় তিন মন জিলেপি তৈরি করেছি। |