প্রকাশ: বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ১২:৩৪ এএম |

নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার বাজারে এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার
টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা। দুই মাসের ব্যবধানে খাসির মাংসের
দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫০/ ২০০ টাকা। আর গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০
টাকা। ক্রমেই দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্তদের জন্য তা কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে
পড়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, মাংসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েনি বাজারে।
বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই। কোরবানীর আগ পর্যন্ত এই দাম কমার কোনো সম্ভাবনা
নেই বলেও জানান তারা।
কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে
কথা বলে জানা গেছে, দুই/তিন মাস আগে কুমিল্লার বাজারে গরুর মাংসা বিক্রি
হতো সাড়ে ৬ শ’ টাকা কেজি দরে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকা। ৮ শ’ টাকা
কেজি দরের খাসির মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। প্রতিটি খাসির মাথার
অংশ ৩০০ টাকা এবং পায়া বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা করে। তারা বলছেন, প্রশাসন থেকে
এই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাতেও আমাদের পোষায় না। বাজার থেকে চড়া
মূল্যে গরু-খাসি কিনে এই দামে মাংস বিক্রি করে তাদের তেমন একটা লাভ হয় না
বলেও জানান তারা।
আর ক্রেতারা বলছেন, দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মাসিক
খরচায়। আগে যারা মাসে অন্তত ২ কেজি মাংস কিনতেন, তারা এখন এক কেজি মাংসও
কিনতে পারছেন না।
রাজগঞ্জ বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা আবু সালাম বলেন,
আগে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হতো সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়,এখন তা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা কেজি। এছাড়া খাসির মাথার অংশ বিক্রি হচ্ছে
প্রতিটা আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকা করে। খাসির পায়া বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা পিস।
তিনি বলেন, দাম বাড়লেও বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়ছে না ক্রেতা আগের মতোই রয়ে
গেছে।
বাজারের প্রবীণ মাংস বিক্রেতা আবদুর রউফ মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসন
থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু এই দামে বিক্রি করে আমাদের পোষায় না, আমরা দাবি করেছিলাম ৮০০ টাকা
কেজি দরে নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, দাম বাড়ার কারণে বাজারে
প্রভাব কিছুটা পরেছে; তবে কুরবানীর পর্যন্ত এই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
কোরবানির পরে দাম কিছুটা কমবে।