ভূমি
অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণের জন্য ছেলেকে নিয়ে কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ আসেন ষাটোর্ধ্ব আবু ইউছুব ভূঁইয়া। কিন্তু
অসুস্থতার কারণে চেকগ্রহণের জন্য দ্বিতীয়তলায় সভাকক্ষে তিনি যেতে পারেননি
তিনি। ডিসি অফিসের আঙ্গিনায় একটি সিএনজিতে অপেক্ষা করতে থাকেন বিকল্প
উপায়ের আশায়। কারণ এই চেক জেলা প্রশাসক নিজ হাতেই হস্তান্তর করে থাকেন।
বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম চেক হাতে নেমে আসেন
নিচতলায় সিএনজি’র সামনে। পরে ওই বৃদ্ধের হাতে তুলে দেন ক্ষতিপূরণের চেক।
এসময় ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে আবু ইউছুব ভূইয়া জেলা প্রশাসককে আন্তরিক
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই বৃদ্ধসহ ১৮ জনকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা
হয়।
জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের
জন্য বিগত সময়ে কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণে স্বচ্ছতা বজায়
রাখার লক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে
আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ জন ব্যক্তির মাঝে ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৩ টাকা ৫১
পয়সার ক্ষতিপূরণ চেক বিতরণ করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এদের মধ্যে বৃদ্ধ আবু ইউছুব ভূঁইয়াকে প্রদান করা হয় ১ কোটি ৩ লাখ ১ হাজার
৭৬০ টাকার চেক। তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত
হাজী সুজাত আলীর ছেলে। ক্ষতিপূরণের চেকপ্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান,
সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার অতীশ সরকার প্রমুখ।
এ
বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ
প্রদানে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। স্বচ্ছতার সাথে ভূমি অধিগ্রহণের চেক ১৮ জন
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।