
দায়িত্বপালনে
ব্যর্থতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ইন্ধনের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর
কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি
আদায়ে অবশেষে আমরণ অনশনে বসেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী।
টানা ১০দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো ফলাফল না আসায় শেষ পর্যন্ত
অনশনের পথ বেঁচে নিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু
ভাষ্কর্যের পাদদেশে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী
এনায়েত উল্লাহ, একই শিক্ষাবর্ষের আইসিটি বিভাগের দুই শিক্ষার্থী কাজল হোসেন
ও ইমতিয়াজ শাহরিয়া এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং
বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী অনশনে বসেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টায় অনশনরত
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন উপাচার্য। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের এ
আমরণ অনশন চলমান রয়েছে। তবে দাবি আদায় না হলে অনশন ভাঙবেন না বলে জানান
তাঁরা।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন গত ৮ মার্চ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক
সংলগ্ন তাজান্না ভূঁইয়া কনফেকশনারি দোকানের সামনে ‘প্রক্টর সমর্থিত’
ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসের বাইরের অংশের হাতে হামলার শিকার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ
দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, একই হলের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ
শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের
আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’এ আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের দাবিসমূহ আদায়ের
জন্য আল্টিমেটাম দেন। একই সময়ে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন
তাঁরা।
তাঁদের আল্টিমেটাম দেওয়া সময়ের মধ্যে উত্থাপিত কোনো দাবি পূরণ
না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে
অনশনকারী শিক্ষার্থী কাজল হোসাইন বলেন, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত
তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদেরকে
দেখতে এসে সান্ত্বনা দিয়ে চলে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান।
তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
একই
কাণ্ড ঘটিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনও। সন্ধ্যা ৭টায়
বৃষ্টিতে ভিজছিলেন অনশনরতরা। সেসময় উপাচার্য আসলে দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত
অনশনে অনড় থাকার ঘোষণা দেন তাঁরা। পরে অনশনরতরা অসুস্থ হলে তাঁদেরকে
অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন
উপাচার্য। সেসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে
কোনো মন্তব্যই করবেন না বলে জানান।
